অভিনয়ে বাজিমাত, এরপর অন্ধকার জগতে, শেষমেশ এই ভয়ানক পরিণতি!
অভিনয় জীবনের শুরুতেই সাফল্য থাকলেও হঠাৎই চলে গিয়েছিলেন অন্ধকার জগতে। মূলত ২০০২ সালে প্রথম বার অভিনয় বড় পর্দায়। তারপর ২০০৫ সালে আবার বাজিমাত নাগেশ কুকুনুরের ‘ইকবাল’ ছবিতে। ‘খাদিজা’-র ভূমিকায় অভিনয় করে করাচি চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সহঅভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন শ্বেতা বসু প্রসাদ । পাশাপাশি অভিনয় করেন ছোটপর্দায় ‘কাহানি ঘর ঘর কি’ এবং ‘কারিশমা কা কারিশমা’-র মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে তাকে। সাফল্যের সঙ্গে চলতে চলতেই হঠাৎই ছন্দপতন হয় তার । ২০১৪ সালে হায়দরাবাদের হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। অভিযোগ উঠেছিল মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার। এ দিকে সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে শ্বেতার একটি বিবৃতি পাওয়া গিয়েছিল। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, অভাবে পড়েই যৌনপেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। পরবর্তীকালে হায়দরাবাদের আদালত শ্বেতাকে ক্লিন চিট দেওয়ার পরক্ষণেই সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে ধরা পড়ার পরে তাঁর যে ‘স্বীকারোক্তি’র কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তার আদ্যোপান্ত ভুয়া। তারপরই ২০১৮-র ডিসেম্বরে বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের বন্ধু রোহিত মিত্তলকে। বাঙালি ও মারোয়াড়ি, দুই রীতিতেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্বেতা। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি শ্বেতা নতুন ছন্দে ফিরে এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতেও। অভিনয় করেছেন ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’-র মতো বক্সঅফিস সফল ছবিতে। তাঁকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০১৯-এর ১২ এপ্রিল মুক্তপ্রাপ্ত ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ ছবিতে ।
প্রসঙ্গত, শ্বেতার জন্ম ১৯৯১-এর ১১ জানুয়ারি, ঝাড়খণ্ডে। তাঁরা আদতে বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। শ্বেতার দাদা ছিলেন আই বি-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। শ্বেতার বাবা অনুজ প্রসাদ ছিলেন অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। তাঁর মা শর্মিষ্ঠা বসু প্রসাদ একজন সুরকার