অমানবিক কাজের অমানবিক শাস্তি
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে অভিনব একটি শাস্তির ব্যবস্থাকে অমানবিক বলে মনে হলেও বাস্তবে সীমান্ত জনপদের মানুষ এরকম শাস্তির ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে। কেননা বিষয়টির বিবরণও অত্যন্ত অমানবিক। তাই অমানবিক কাজের অমানবিক শাস্তি দেওয়ার কথা জানান ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা নাফনদ পাড়ি দিয়ে এপারে আশ্রয় নিতে এসেই দফায় দফায় লুটেরাদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের তিন ইয়াবা সেবনকারী তরুণ অনুপ্রবেশকারী হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সাসহ কাপড়-চোপড় প্রায় প্রতিদিনই ছিনিয়ে নেয়। এই তিন তরুণের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবদুল গফ্ফার তার সমর্থকদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাফনদ তীরে রোহিঙ্গার ঘাটে ওঁৎ পেতে থাকেন। নাফ নদ পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গার একটি দলকে পথরোধ করে তিন ছিনতাইকারী লুটপাট করার সময় তাদের হাতেনাতে ধরা হয়।
ইউপি মেম্বার আবদুল গফ্ফার এ বিষয়ে জানান, তিন ইয়াবা সেবনকারী তরুণের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতীষ্ঠ হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার উপর সর্বস্বহারা রোহিঙ্গাদের ধরে সর্বশান্ত করার কাজটি কোনোভাবেই এলাকাবাসী মেনে নিতে পারেনি। তিনি জানান, এ কারণেই অমানবিক কাজের অমানবিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে-বলেন ইউপি মেম্বার। এ কারণেই গ্রামের লোকজনসহ তাদের হাতেনাতে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে টেকনাফ থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়। টেকনাফ থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দিন খান জানান, আসলে রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি জঘন্য অপরাধজনক কাজ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।