আগামী নির্বাচনে জাপা বড় ফ্যাক্টর : এরশাদ
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিই (জাপা) বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। চট্টগ্রামের একটি হোটেলে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছি। তবে আগামীতে কী হবে এবং কিভাবে নির্বাচন হবে সে সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার চট্টগ্রামে আসেন এরশাদ। হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, নগর জাপার সভাপতি মাহজাবীন মোরশেদ এমপি, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম প্রমুখ। জাপার সঙ্গে জোট নিয়ে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম কী বলেছেন, সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সবাই আমাদের চাচ্ছে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব, কিভাবে নির্বাচন করবো, সেটা ডিপেন্ড করবে আমাদের ওপর। আমাদের কর্মীদের ওপর, নেতাদের ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নেব—কিভাবে নির্বাচন করবো।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখনই কথা বলা উচিত হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। তবে আমরা সংগঠিত হচ্ছি। আমাদের ৩০০ প্রার্থী আছে। এর মধ্যে কতজন প্রার্থী জয়ী হতে পারবে সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই।’ নির্বাচন কমিশনের জন্য রংপুর সিটি নির্বাচন বড় পরীক্ষা ছিল এবং এতে কমিশন উত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘রংপুরে আদর্শ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হলো।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর নির্বাচনে জয়লাভের পর আমাদের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা ভালো করবো।’ সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, ‘দেশে যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। বিনিয়োগ নেই। তাই যুবসমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা আমাদের জন্য সুখকর নয়। জাতির জন্য লজ্জাজনক কথা। সরকারের প্রয়োজন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা, শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা। কারণ শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে সমাজে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি পাবে।’