আগামী বাজেট ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আমার স্বপ্ন ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা দেওয়ার, কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিলেও আমরা তা কমাবো না। বরং এবার সামাজিক নিরাপত্তাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। সোমবার রাতে আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন সহযোগী, ব্যবসায়ী নেতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকেই শহরের সমস্যা নিয়ে আমাদেরকে জানিয়েছেন। শহুরে সমস্যা নিরসনে আগামী বাজেটে দিক নির্দেশনা থাকবে। শ্রমিকদের গৃহায়ন ঋণ নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলছেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার পরও শ্রমিক গৃহায়ন ঋণ পাননি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সভায় ব্যবসায়ীরা গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কিংবা নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদেরকে পূর্বে থেকেই ওয়াকিবহাল করার পরামর্শ দেন। আগামীতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সভায় ব্যবসায়ীরা বড় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নেরও পরামর্শ দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি সত্য যে, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে, এর সুফল পাওয়া যায় না। এ সমস্যা আমাদের দেশে রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের উন্নতি হলেও সমস্যা রয়ে গেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বাজেটে সবার জন্য পেনশনের কথা বলা হলেও – তা বিস্তারিত ছিল না। আগামী বাজেটে তা বিস্তারিত আকারে আসবে। কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বড় অংশ গ্রামাঞ্চলে। এ জন্য গ্রামে উন্নতি করতে হবে। এছাড়া তিনি কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবার জন্য সহজলভ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার তাগিদ দেন।