barraডেস্ক :: ‘জীবনে কখনও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে একদিনের বেশি থাকিনি। এখন অন্যের বাড়িতে পালিয়ে থাকতে হয়। বয়স হয়েছে; শরীরটা ভালো নেই। এভাবে পালিয়ে থাকতে কষ্ট হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বললেন বৃদ্ধ অলি উল্লাহ (৬০)।’অলি উল্লাহ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এক মাস আগে অলি উল্লাহর ছেলে রাফিউল (২৫) ত্রিশাল উপজেলার নয়পাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর ত্রিশাল থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে অপহরণের মামলা করেন। মামলায় অলি উল্লাহকেও আসামি করা হয়। তারপর থেকে পুলিশের ভয়ে অলি উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অলি উল্লাহ বলেন, ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ছেলে রাফিউল ফোনে কল দিয়ে বলল আব্বা তোমাদের না জানিয়ে আমি একটি কাজ করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করে দিও। আমি বললাম কি করেছিস? ছেলে উত্তর দিল আমি বিয়ে করে ফেলেছি। জিজ্ঞেস করলাম তুই এখন কোথায়? আমি এক জায়গায় আছি। তুমি চিন্তা করো না। এই বলে কলটা কেটে দিল। আবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। এরপর থেকে মাঝে মধ্যে ছেলে ফোন করে খোঁজ নেয়। অলি উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো বাবা-মা চায় না তাদের সন্তান পালিয়ে বিয়ে করুক। কিন্তু তারপরও বর্তমান সময়ে প্রায়ই শোনা যায় এমন ঘটনা ঘটছে। কোনো বাবা কি ছেলেকে মেয়ে অপহরণের জন্য সহযোগিতা করে? সবকিছু জানার পরও মেয়ের পরিবার আমাদের ওপর মামলা করেছে।
পুলিশ আমার বাড়িতে এসে আমাদের খুঁজছে। এই বয়সে আমাদের পালিয়ে থাকতে হয়। সন্তান জন্ম দিয়ে মনে হয় পাপ করেছিলাম। এজন্য এমন শাস্তি ভোগ করছি। অলি উল্লাহর ছেলে রাফিউল বলেন, ‘আমি ওকে অপহরণ করিনি। ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’ রাফিউল নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে মেয়েটি রাফিউলকে জড়িয়ে ধরে বলছে, আমি নিজের ইচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করে সংসার করছি। আমার শ্বশুরের পরিবারের কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। ত্রিশাল থানা পুলিশের ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ১৩ অক্টোবর সাদিয়া নামে এক স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। ভিকটিমকে উদ্ধারের পর তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।-জাগো নিউজ