‘আমি অপাত্রে ঘি ঢালি না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে কে আসবে, আর কে আসবে না- এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কিন্তু, এসব নিয়ে এখন যারা বিভিন্ন জায়গায় ঘি ঢালছেন, তাদের বলছি, আমি অপাত্রে ঘি ঢালি না। বৃহস্পতিবার বিকেল সরকারি বাসভবন গণভবনে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে গত ৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানী নমপেন যান প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের সরকারি সফর শেষে গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি দেশে ফেরেন। তার এই সফর সম্পর্কে জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে আগাম নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তার সরকার এমন কোনো দৈন্যদশায় পড়েনি যে, আগাম নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। এজন্য আমার কোনো আফসোস নেই।’ আদালতে ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি’ সংক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে এক সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) কিসের ক্ষমা করলেন সেটা হলো প্রশ্ন। ২১ অগাস্ট আমি যে বেঁচে গিয়েছি, সেই কথা বলছেন? ক্ষমা করেছেন না চাইছেন, সেটা স্পষ্ট না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করেছি নাকি যে আমাকে ক্ষমা করতে হবে? বরং বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজের উচিৎ জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’ তিনি বলেন, ‘সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। বরং খালেদা জিয়ার সরকারই তার বিরুদ্ধে একডজনের মতো মামলা দিয়েছিল। উনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। ওই সরকারের সবাই উনার লোক।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘নয়জনকে টপকে মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক থেকে ফখরুদ্দীনকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হয়। আর ইয়াজউদ্দিনতো ওনার ইয়েস উদ্দিন। সবগুলো ওই আমলের মামলা।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। আজ হোক কাল হোক, একদিন না একদিন তাকে আসতেই হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আসামিকে ধরে আনার ব্যাপারে আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলাপ করেছি। সে প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।’