আরো বাড়ছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা
বার্তা ডেস্ক:: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার পরিমাণ দুই হাজার টাকা করে বাড়ছে। বর্তমানে ভাতা ১০ হাজার টাকার চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়ে আগামী অর্থবছরের সম্মানীর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার টাকা। একইভাবে দুই ঈদে সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা এবং ছয় হাজার টাকা বিজয় দিবস ভাতা ও তিন হাজার টাকা নববর্ষ ভাতাও পাবেন তারা। এর আগে তিন দফায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করে সরকার। জানা গেছে, এবারের বাজেটে ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে চলতি বছরের জুলাই থেকে ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা। এতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ৪’শ ৮০ কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রয়েছে তিন হাজার ৮শ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশে এখন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৮। ভাতা পাচ্ছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮২ জন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরাও মাসিক ভাতা পাচ্ছেন।
এর মধ্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এ শ্রেণি (পঙ্গুত্বের হার ৯৬-১০০ ভাগ) ৪৫ হাজার, বি শ্রেণি (পঙ্গুেেত্বর হার ৬১-৯৫ ভাগ) ৩৫ হাজার, সি শ্রেণি (পঙ্গুত্বের হার ২০-৬০ ভাগ) ৩০ হাজার টাকা এবং ডি শ্রেণির (পঙ্গুত্বের হার ১-১৯ ভাগ) যুদ্ধাহতরা ২৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া সাত বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারের মাসিক ভাতা ৩৫ হাজার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার মাসিক ৩০ হাজার এবং মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ২৫ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছে। সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এজন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হতো। কিন্তু বাজেটে অর্থ সংকুলান না থাকার কারণে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ২ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত বাজেটে রাখা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বাড়ানো হলেও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অন্য কোনো ভাতা আগামী অর্থবছরে বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতা বাড়ানো হবে। বর্তমানে ১৬টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু রয়েছে। এসব কর্মসূচি বার্ষিক বরাদ্দ রয়েছে ৩২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা।