ইংল্যান্ডের আগের তিন ফাইনাল
বার্তা ডেক্সঃঃ দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড না হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে। কিন্তু ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে টিম ইংল্যান্ডের শিরোপা বলতে ২০১০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড। লর্ডসে রোববার অধরা বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁতে মাঠে নামবে ইংলিশরা। চতুর্থ বিশ্বকাপ ফাইনালে পোমসদের পারফরম্যান্সের কাটাছেড়া পরে হবে। ইংল্যান্ডের আগের তিন ফাইনালে একটু চোখ বুলিয়ে আসা যাক। প্রথম তিনটি বিশ্বকাপই হয় ইংল্যান্ডের মাটিতে। অন্য দেশগুলোর তখন বিশ্বকাপ আয়োজনের অবকাঠামো ছিল না। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ১৯৭৯ সালের ওই বিশ্বকাপে ৯২ রানে হারে ইংলিশরা। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ২৮৬ রান করে। শুরুতে ৫৫ রানে ৩ উইকেট এবং ৯২ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ভিভ রিচার্ডস সেখান থেকে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গে কলিস কিংসের ৬৬ বলে ৮৬ রানে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় ক্যারিবিয়রা।
জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার জিওফ বয়কট এবং মাইক বেয়ারলি ১২৯ রানের জুটি গড়েন। এখনকার জেসন রয় কিংবা জনি বেয়ারস্টো যেমন দুর্দান্ত শুরু দেন, তেমনই। পার্থক্য হলো রয়রা ঝড় তোলেন। তারা ধীরে রান তুলেছিলেন। মিডল অর্ডারের ওপর এর চাপ পড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা ১৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। জোয়েল গার্নার ৩৮ রানে ৫ উইকেট নেন। মধ্যে এক আসর বাদ দিয়ে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে আবার ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। এবার তাদের ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড বুন ৭৫ রানের ইনিংস খেলে ভিত্তি গড়ে দেন অজিদের। পরে জিওফ মার্শ ২৪, ডিন জোনস ৩৩, অ্যালেন বোর্ডার ৩১ এবং মাইক ভেলেত্তা ৩১ বলে ৪৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ২৫৩ রান করে। ফাইনাল বিচারে কম রান নয়। জবাব দিতে নেমে ইংলিশ ওপেনার টিম রবিনসন গোল্ডেন ডাক মারেন। অধিনায়ক মাইক গেটিং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন। বিল আথলি ১০৩ বলে ৫৮ রানের কচ্ছপ গতির ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ড ৭ রানের জন্য শিরোপা বঞ্চিত হয়। পরেরবারও (১৯৯২ বিশ্বকাপ) ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। হারে পাকিস্তানের কাছে। শুরুতে ড্যারেক পিংগেলের স্পেলে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান দুই ওপেনারকে হারায়। অধিনায়ক ইমরান খান ৭২ এবং জাভেদ মিয়াদাঁদ ৫৮ রান করেন। ইনজামাম করেন ৪২ রান। ওয়াসিম আকরাম ১৮ বলে ৩৩ রান করলে ৬ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে পাকিস্তান। এবার ইংলিশ ওপেনার ইয়ান বোথাম গোল্ডেন ডাক মারেন। শুরুতে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। নেইল ফেয়ারব্রাদার ৬৮ রান করলেও ২২ রানে হারে ইংলিশরা। লর্ডসে এবার ফাইনাল ভূত মাথা থেকে নামাবার পালা ইংল্যান্ডের।