ইবির বাতিল ভর্তি পরীক্ষা ১৬ মার্চ, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতিল হওয়া ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় এ ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ। এদিকে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের প্রতিবাদে প্রশাসন ভবনের সামনে মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছ ওই ইউনিটের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ‘এফ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ায় ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৩ তম সিন্ডিকেট থেকে এ সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
‘এফ’ ইউনিটে আবারো ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ইউনিটের বাতিলকৃত ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটে ২৯৪৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করে। এই ইউনিটে আবেদনকারী সকল ভর্তিচ্ছু ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.iu.ac.bd এ পাওয়া যাবে।
এদিকে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের প্রতিবাদে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ওই ইউনিটের গনিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯ টা থেকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
মানববন্ধন চলাকালে সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপণ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের সাথে দেখা করে।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে তাদের জন্য আমরা যারা নির্দোষ তারা কেনো সাজা ভোগ করবো। আমাদের প্রতি প্রশাসন অবিচার করছে। আমরা অধিকাংশই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছে। পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে আর কোথাও ভর্তি হতে পারব না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হয়েছে।