এফডিসিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
আর মাত্র কয়েকদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে বেশ সররম চলচ্চিত্রপাড়া। যার ফলশ্রিতুতে এফডিসিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে চলছে মিছিল-মিটিং। শত শত অভিনয়শিল্পী যোগ দিচ্ছেন এসব কর্মকাণ্ডে। শিল্পী ছাড়া বহিরাগতরাও মিছিলে অংশ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিচ্ছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম বলেন, এফডিসির ভেতরে যেহেতু নির্বাচন হবে, তাই নির্বাচনকে ঘিরে কোনো নৈরাজ্যকর ঘটনা বা অন্য কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ যেন তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের অফিশিয়াল চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের ফোন করে এবং সামনাসামনি ডেকেও বলে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, রাত ১০টার পর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এফডিসিতে কেউ মিছিল করতে পারবেন না। শিল্পীদের মিছিলে বহিরাগতরা অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন সুন্দর করার জন্য আমরা গেটে পুলিশ দিয়েছি। তবে এফডিসির যে কেউ প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হবে না। মিশা সওদাগর বলেন, নির্বাচন হচ্ছে আমাদের কাছে উৎসব। তবে আমরা লক্ষ করেছি এখানে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে করে এখানে বাজে ঘটনা হতে পারে। আমাদের এক শিল্পীকে বাইরের কেউ হুমকি দিয়েছে, এফডিসির বাইরে বের হলে তাঁকে মারবে। আমরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না। তাই বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তারা সেটি করেছেন। দুদিন ধরে গেটে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।