এমসি কলেজে নির্মিত হচ্ছে দশ তলা ভবন, সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
সিলেট এমসি কলেজে নির্মিত হচ্ছে দশ তলা একাডেমিক ভবন। আগামী ২৬ আগস্ট (শনিবার) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই ভবন নির্মান কাজের উদ্বোধন করবেন।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটিতে(একনেক) এমসি কলেজ দশ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ ভবন নির্মান করবে। এমসি কলেজ ক্যাম্পাস পুকরের উত্তর দিকের ছাত্র মিলনায়তন আর ক্যান্টিন ভেঙ্গে নতুন দশ তলা ভবন নির্মান করা হবে। এতে কলেজের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
১৮৯২ সালে রাজা গিরিশচন্দ্র রায় তাঁর পিতামহের নামে ‘মুরারিচাঁদ কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন যা এমসি কলেজ নামেই বেশী পরিচিত।নগরীর টিলাগড়ে টিলা আর সমতলের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত এ ক্যাম্পাস সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান।বৃটিশ আমলে করা টিলার উচুঁ আর নিচু উভয় পারেই দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিং, এনেক্স ভবন আর রাস্তার ধারে গাছের সারিগুলো দেখতে অবর্ণনীয়।কলেজের ছাত্র মিলনায়তন আর ক্যান্টিনের সামনে নতুন দশ তলা বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তরের জন্য ফলক বসানো হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিমত এ জায়গায় দশ তলা ভবন নির্মাণ হলে হুমকির মুখে পড়বে ঐতিহ্যবাহী এ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।
ক্যাম্পাসের ভেতরের প্রধান সড়কের পাশে আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গাঁ ঘেষে এ ধরনের ভবন নির্মাণ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলবে। ক্যাম্পাসের মধ্যখানে এ ধরনের ভবন আড়াল করবে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম আহমদ বলেন, ক্যাম্পাসের এ জায়গায় ভবনটি না করে অন্য জায়গায় করলে ঐতিহ্যবাহী এ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা থাকত।রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সুবেল বলেন, কলেজে বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণী সংকট রয়েছে, ভবন হওয়া প্রয়োজন তবে এ জায়গায় না করাটাই ভালো।সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ তা খুলে দেয়ার বদলে প্রশাসন এখন নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এ জায়গা নির্ধারিত করেছে পাশাপাশি স্পোর্টস রুম এতোদিন খোলা থাকলেও এখন তাও দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হতে চলেছে।ছাত্র মিলনায়তনে ছোট পরিসরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এতোদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি করলেও এখন উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা ছাড়া গত্যন্তর থাকছেনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।১২৪ একরের ক্যাম্পাসের অন্য যেকোনো জায়গায় দশ তলা ভবনটি করার কথা ঘুরেফিরে বলছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।