ইশতিয়াক আহমদ জয়-

ডিবি মানে আমরা বুঝি ডিটেক্টিব ব্রাঞ্চ। বিভিন্ন জন-গুরুত্বপূর্ন জটিল মামলার রহস্য উদঘাটন করাই মূলত এই বিশেষ বাহিনীর কাজ। কিন্তু সম্প্রতি কক্সবাজারে ডিবি নামক এই বাহিনীতে কর্মরত গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তার কারণে জেলার সর্বত্র পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সুনাম ও ভাবমূর্তি আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। কক্সবাজারে ডিবির কাজ বলতে আমরা সবাই দেখে আসছি 24/7  This special Force searching Yaba। সেই তখন থেকে শুধু শুনছি আর দেখছি দিন রাত ইয়াবা খোঁজা ছাড়া আর কোনো কাজই যেন নেই এই বিশেষ বাহিনীর। সেই সাথে সোর্সদের শিখিয়ে দেওয়া ছক অনুসারে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষদের ধরে এনে ইয়াবার জালে ফাঁসিয়ে ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

মাস কয়েক আগে অপকর্মে ধরা পড়ার কারণে তাদের (ডিবি)’র ইয়াবা বেচাকেনার কার্যক্রম বন্ধ ছিল এই শহরে অল্প কিছুদিন। তখন তো ভালই তো চলছিল সব..!!! মাঝে মধ্যে ভুল করেও যদি ইয়াবার দুই/একটা চালান ধরেও ফেলেন তখন ঐ ইয়াবা জব্দ তালিকায় কিংবা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নগদে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিলে কিভাবে ইয়াবা ব্যবসা বা পাচার বন্ধ হবে আমার জানা নেই। কক্সবাজার জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত Law and enforcement -এর  উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হাত জোর করে বলেছি- দয়া করে আপনারা ডিবি নামক ফোর্সটির অসাধু অফিসারদের সামলান। ইয়াবা ধরার নাম করে এরাই মূলত ইয়াবার আসল কারবারী। ডিবি নাম দিয়ে হাইওয়েতে কারণে-অকারণে সময়ে-অসময়ে চেকপোস্ট বসিয়ে আমাদের মা-বোনদের শরীর তল্লাশি করার লাইসেন্স নিশ্চয়ই সরকার ডিবি নামের এই ব্রাঞ্চকে দেয়নি। সময় থাকতে নিজেদের শুধরান….আর নয়তো চাকরি বাঁচানো দায় হয়ে দাঁড়াবে ডিয়ার অল অনারেবল ডিজঅনেস্ট অফিসার্স এন্ড স্টাফ অফ ডিটেক্টিব ব্রাঞ্চ, কক্সবাজার…

লেখক: সভাপতি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn