মারুফ খান মুন্না ::

পুর্ণাঙ্গ কিংবা নতুন কমিটির অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন সিলেট ছাত্রলীগ মহানগর ও জেলা ইউনিটের ছাত্রনেতারা। কমিটি হচ্ছে হচ্ছে করে না হওয়াতে হতাশায় ভুগছেন তারা। পদ-প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ  স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ধরণা দিচ্ছেন বারবার। কিন্তু ফলাফল যেনো সেই শুন্য!

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগঃ

২০১৫ সালের ৪ জুলাই সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ২০ জুলাই মহানগর ছাত্রলীগের চার সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই চার সদস্য হচ্ছেন- সভাপতি আবদুল বাছিত রুম্মান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক ও সৈকত চন্দ্র রিমি। কিন্তু মেয়াদ পেরিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি দুই বছর পার করে ফেলে। এ দীর্ঘ সময়েও আংশিক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশা জাগিয়েও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি।  সর্বশেষ এ বছরের জুলাই মাসের ২৫ তারিখের ভিতর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের হতাশ হতে হয়। এরপর শোকের মাস আগস্ট শুরু হওয়ার আগে ‘এক সপ্তাহ’র আল্টিমেটাম দিয়েও কমিটি গঠন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে আগষ্ট মাস এবং ঈদ-উল-আজহার কারণে কমিটি নিয়ে আলোচনা স্থগিত থাকলেও শীগ্রই কমিটি পেতে উদগ্রীব সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগঃ

বিতর্কিত কর্মকান্ড, কেন্দ্রীয় নির্দেশ উপেক্ষা, উপজেলা ও আয়ত্ত্বাধীন বিভিন্ন ইউনিটে পকেট কমিটি গঠনসহ নানা অভিযোগ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বিপক্ষে। বারবার কেন্দ্রীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে সম্মেলন করতে না পারায় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাজ করছে খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের। এ উপলক্ষে বর্তমান কমিটির পদধারী অনেক নেতা মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ কেন্দ্রের হসক্ষেপ কামনা করে গণমাধ্যমে বিবৃতিও পাঠিয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় কমিটির বিপক্ষে বিদ্রোহী কমিটি এবং অসন্তোষও দেখা গেছে। শুধু তাই নয় শিবিরকর্মীদের ছাত্রলীগের পদ দেওয়ার মতোও অভিযোগ আছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে। আর তাই নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে। খুব দ্রুত কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বর্তমান কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তারা। নতুন কমিটি কিংবা পুর্ণাঙ কমিটি কবে হবে সেটা জানে না কেউ।  তবুও বসে নেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আগামী কমিটিতে স্থান পেতে লবিং-তদবির ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচীতে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমে সুকৌশলে নিজেদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn