কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষার্থীদের ভিসা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু যুক্তরাষ্ট্রের
বার্তা ডেস্ক :: করোনাভাইরাস ও লকডাউনের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে তিন কোটির বেশি মানুষ বেকার ভাতার আবেদন করেছেন। এমন অবস্থায় কর্মসূত্রে ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্যও ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে কাজের জন্য অন্য দেশের নাগরিকদের এইচ-১বি-এর মতো ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মীদের নিজেদের কোম্পানিতে কাজের সুযোগ দিতে পারে মার্কিন কোম্পানিগুলি। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ রয়েছেন। শুক্রবার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজররা এই বিষয়ে কাজ করেছেন। এই মাসের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন তারা। যতদূর মনে করা হচ্ছে, আপাতত এই ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত প্রধানত এইচ-১বি ও এইচ-২বি ভিসার উপর নেওয়া হবে। এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে করোনার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মার্কিন নাগরিক কাজ হারিয়েছেন। আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গ্রোথ রেট নেতিবাচক দেখিয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গ্রোথ রেট মাইনাস ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ১৪.৭ শতাংশে পৌঁছেছে এপ্রিল মসে। এই হার দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্যই নিজেদের বিদেশনীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। গত মাসেই একটি নির্দেশ জারি করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অন্তত দু’মাস আমেরিকায় কোনো ইমিগ্রেশন কার্যকর হবে না। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সময় সরকারের প্রধান লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। তার জন্য সবার আগে এই দেশের মানুষের কাজের সংস্থান করতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন বাইরে থেকে কাজের সূত্রে আসা মানুষের সংখ্যা কমবে। সব কোম্পানিগুলিকে জানানো হবে, দেশীয় কর্মীদেরই কাজের সুযোগ দিতে।