আওয়ামী লীগে ফার্মের মুরগি ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার মেহেরপুরের মুজিবনগরে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে ফার্মের মুরগি ঢুকেছে। ফার্মের মুরগির কারণে দেশী মুরগি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ফার্মের মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ফার্মের মুরগি বিদায় করে দেশী মুরগি ঢোকাতে হবে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করা চলবে না। তাহলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৭ এপ্রিল যারা পালন করে না তারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটা ইস্যু মেকিং কারখানাতে পরিণত হয়েছে। একেক সময় একেকটি ইস্যু তৈরি করে। এখনও ভারত জুজুর ভয় দেখায়। এদেশের মানুষ বিএনপির কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপির নেতাকর্মীরাও এসব কথা বিশ্বাস করে না বলে ঘরে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে।’

প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়াকে সম্মানের সঙ্গে সম্মোধন করি। কিন্তু খালেদা জিয়া ১৬ কোটি মানুষের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হাসিনা’ সম্বোধন করেন।’ সভাপতির বক্তব্যে মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধানের আলোকেই সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে এবং নিজামী-মুজাহিদদের রাজনৈতিক পুনবার্সন করে খুনি জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানের চর ছিলেন।

তিনি বলেন, মুজিবনগরে ‘মুজিবনগর কমপ্লেক্সের’ কাজের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হয়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন যা দিয়ে নতুন করে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের কাজ আন্তর্জাতিক মানের করে করা হবে। এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানি সেনা অফিসার আসলাম বেগের চিঠিতে প্রমাণ মেলে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আলোচনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn