কারো দায়িত্ব নিতে পারব না : প্রধানমন্ত্রী
জনপ্রিয়তা হারালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে দলীয় সাংসদদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রাতে জাতীয় সংসদের সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এক সভায় তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা থাকলে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। এলাকায় করো গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা হারালে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য পরিবর্তন ডটকমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ছয় মাস পর পর জরিপের কথা বলেছেন। এই জরিপে যারা ভালো করবেন; আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি এরইমধ্যে তালিকা তৈরি করছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো অবস্থান যাদের থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি কারো দায়িত্ব নিতে পারব না। যাদের অবস্থান খারাপ আমি এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে বলে দিয়েছি। নির্বাচন কঠিন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ সময় সংসদ সদস্যদের সরকারের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সূচকে মাধ্যমিক স্তরে কত পুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে, মাথাপিছু আয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি কত টাকা দেওয়া হয়েছে সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। অধিকাংশ সংসদ সদস্য সামাজিক উন্নয়নের সূচকের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারেননি। এরপর শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিজের সরকারের উন্নয়নের চিত্রই ঠিকমতো বলতে পারে না, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী তথ্য দেবে? বৈঠকে দলীয় সাংসদদের তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে বৈঠক করতে বলেন।
বৈঠকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মধ্যে গাইবান্ধা-৪ আসনের আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৩ আসনের ছলিম উদ্দীন তরফদার, কুষ্টিয়া-১ এর রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২ এর তাহজীব আলম সিদ্দিকী, যশোর-৫ এর স্বপন ভট্টচার্য্য, ঢাকা-৭ এর হাজী সেলিম, নরসিংদী-২ এর কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ এর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মৌলভীবাজার-২ এর আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩ এর ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এবং কুমিল্লা-৪ এর রাজী মোহাম্মদ ফখরুল যোগ দেন।