মাসুদা ভাট্টি-
ঘটনা-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জনসভায় ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন—সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা থেকে পদ পূরণ করা না গেলে মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। বেশ কয়েক মাস ধরে চলে আসা কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা বেশ একটি স্বস্তির প্রলেপ ছিল। কিন্তু গত ৫ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটাবিষয়ক যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি প্রায় উল্টেই যায়। তারা বলতে চান যে, কোটা পূরণ না হলে পুনরায় কোটা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। একেবারে শেষে এসেও যদি কোটায় পদ পূরণ না হয়, তাহলেই কেবল মেধায় যাওয়া হবে। কেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরও এরকম একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো, সে বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে সামনে। এক. প্রধানমন্ত্র্রীকে আন্দোলনকারীদের সামনে মূল্যহীন করা; দুই. আন্দোলনকারীদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া; তিন. প্রশাসনে সরকারবিরোধীদের কাজ; চার. যারা একসময় কোটা-প্রথার ভেতর দিয়েই সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত হয়েছেন, তারা তরুণদেরও সেভাবেই নিয়োজিত হতে দেখতে চাইছেন; পাঁচ. যেহেতু তারা সরকারি চাকরিতে ঢুকে এরই মধ্যে তাদের শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন, সেহেতু তাদের ছেলেমেয়েদের আর সরকারি চাকরি করতে হবে না ভেবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করছেন।

দুর্ঘটনা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন বের হওয়ার পরপরই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হতে শুরু করে। শাহবাগে রাস্তা অফিস ফেরত মানুষের জন্য যখন ভোগান্তির কারণ হয়, তখন পুলিশ একটু বেশিই তৎপর হয়ে জল-কামান, টিয়ার শেল ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে যে দাবি জানানো হলো, তাকেও সরকারবিরোধী ভেবে ছাত্রলীগের মুহুর্মুহু পাল্টা প্রতিবাদী মিছিল করাকে আন্দোলনকারীদের কাছে উসকানিমূলক মনে হতেই পারে। কিন্তু এই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভয়াবহ গুজব ছড়ানো হলো, তা ছিল ভয়ঙ্কর এবং ভবিষ্যতে যেকোনও আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক ইঙ্গিত। হঠকারী একদল আন্দোলনকারী গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবনে যে ভাবে হামলা চালায়, তা ছিল আমাদের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে চির কলঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট একটি ঘটনা। এর সঙ্গে যখন দেশের মিডিয়াকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হলো, পুলিশ সদস্যদের ধরে পেটানো হলো, তখন একটি যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলন আর কোনোভাবেই যৌক্তিক থাকলো না, হয়ে উঠলো নিন্দনীয় ও ভয়ঙ্কর একটি দুর্ঘটনা। রাতভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যেভাবে গুজব ও সত্য-মিথ্যা দিয়ে এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী ও গণবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হলো, তাতে লাভ হলো তাদেরই, যারা এই আন্দোলনকে বে-হাত করে তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন।

আলোচনা-প্রত্যাখ্যান-কঠোরতা

সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের প্রথম রাতেই আহ্বান জানানো হয়েছিল আলোচনায় বসার জন্য। তাও কার সঙ্গে? সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক ও এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। আমরা জানতে পারলাম যে, আন্দোলনকারী তরুণদের একটি দল এই সিনিয়র মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি বসেছেন। এদেশে অনেকদিন এরকম সুন্দর দৃশ্য আমরা দেখিনি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসা হয়েছে—এটাই আধুনিকতা, এটাই কাম্য। আলোচনায় বসে দুই পক্ষের সম্মতিতে ঠিক হলো, ৭ই মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে এবং পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ঠিক করা হবে কোটাপদ্ধতি। এমনকি কেবিনেট মিটিংয়ে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কোটা বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে নির্দেশনা দিলেন পদ্ধতি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার জন্য। আলোচনা শেষে ওবায়দুল কাদের চমৎকার ভাষায় আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন এবং আলোচনায় বসা আন্দোলনকারী নেতৃত্ব সাংবাদিকদের সামনে স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে টিএসসি’তে যেতে না যেতেই ঘুরে গেলো তাদের অবস্থান। স্পষ্টতই বিভক্ত হয়ে তারা একদল স্থগিত চাইলো, আরেকদল তক্ষুণি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকলো। কিন্তু রাতভর গুজব আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতি নিভিয়ে দিয়ে আক্রমণ চালানোর মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষককে পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেখা গেলো। ওদিকে সরকারের দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী ভিসি’র বাড়িতে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেন, তাদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে হুমকি দিলেন, কিন্তু ঢালাও প্রচার পেলো যে, তিনি আন্দোলনকারীদেরই রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন। আর সরকারের অর্থমন্ত্রী কোটা সংস্কারে বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন। তিনি আরেক অনুষ্ঠানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভ্যাট প্রচলনের কথা বলে তাদেরও টেনে আনলেন এই আন্দোলনে। তিনি নিজেই স্বীকার করলেন যে, কী কথায় কী বলে ফেলেছেন, কিন্তু সেটা আন্দোলনকারীরা মানবে কেন? তাদের পেছনে তো ততক্ষণে ‘রাজনীতির ফেউ’ লেগে গেছে। এই উসিলায় তাদের দিয়েই সরকারকে উৎখাত করা গেলে এতদিন ধরে তারা যে কাজটিতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটি তো অনায়াসেই হয়ে যাচ্ছে, তাই না? ফলে শুরু হলো দেশব্যাপী রাস্তা দখল করে আন্দোলন, জনগণের জীবনকে বিপন্ন করে, ঝুঁকির মুখে মানুষকে জিম্মি করে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসই হয়ে উঠলো।

কার জন্য কোটা? কত ভাগ? কীভাবে ঠিক হলো?

কোটা সংস্কার করা হোক—এই দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে তা কীভাবে, কার জন্য, কত ভাগ দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে কোনও রকম গবেষণা/নিরীক্ষা ছাড়াই সংস্কারের দাবিকে যৌক্তিক বলা যায় কিনা, সে প্রশ্ন তোলাই যেতে পারে। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, কোটার যে হিসাব চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতেই রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। কিন্তু তাতেও সমস্যা নেই, ফাঁকি থেকেই যদি সুষ্ঠু কিছু বেরিয়ে আসে, তাহলে ফাঁকিই সই। কিন্তু সেই ফাঁকিকেই যে এতটা নগ্ন ও নোংরা করে তোলা হবে, সেটা জানা গেলো তখনই, যখন রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হলো, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হলো দেদারছে, পুরো আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়া হলো ভিন্ন পথে—যেখানে দাঁড়িয়ে এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী ভাবার সমস্ত উপকরণ ছিল। মজার ব্যাপার হলো, কীভাবে কোটা সংস্কার হবে বা কাকে রেখে কাকে বাদ দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের একাত্মতা প্রকাশের কোনও নজির কোথাও দেখা যায়নি। বরং উল্টোটা দেখা গেছে যে, রাষ্ট্রকেই আন্দোলনকারীরা প্রতিপক্ষ বানিয়ে একটি ঘোষিত যুদ্ধে নেমেছিল। ভিসির বাড়িতে আক্রমণ, আলোচনায় বসে নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা, রাষ্ট্রের ওয়েবসাইট হ্যাক করা এবং রাস্তা দখল করে জনজীবনকে হেনস্থা করাটা কোনোভাবেই সুস্থ আন্দোলনের পরিচায়ক হতে পারে না। গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে এই আন্দোলনের ছুতোয় কোপানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এইসব ঘটনা কি আন্দোলনের যথার্থতা প্রমাণ করে? নাকি এর পেছনে ভয়ঙ্কর কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়?

মুক্তিযোদ্ধায় আপত্তি, কিন্তু নারী?

মাত্র দুই লাখ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা নিয়েই সবচেয়ে বড় আপত্তি লক্ষ করা গেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভুয়া তালিকা’র ধুয়া তুলে যে সব শব্দচয়ন করা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু এদেশের নারীর অবস্থান কি এতটাই বদলে গেছে যে, নারীর জন্য ১০ শতাংশ কোটা থাকাটাও আর প্রয়োজন নেই? বাঙালি নারী নাকি অল্পেতেই তুষ্ট—এসব ছেঁদো কথার কাল ফুরিয়েছে বলে মনে হলো না আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ দেখে। এমনকি ছাত্রী হলগুলো থেকে যেভাবে গুজবের ডালপালা ছড়ানো হলো, তাতে মনে হচ্ছিল যে, নারীরা আর এই কোটা চাইছেন না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কিংবা প্রতিবন্ধীদের কথা না হয় বাদই দিচ্ছি, এদেশে এমনিতেও এদের কোনও মূল্য নেই।

কোটা বাতিল:  নাকের বদলে নরুন পেলাম!

সকল আলোচনা-নিষ্পত্তির পথ বন্ধ করে দুই দিন ধরে যখন গোটা দেশটাকে জিম্মি করা হলো, তখন ২০১৩-১৪ সালে এদেশে যে ভয়ঙ্কর দুঃসময় আমরা দেখেছি। তার পুনরাবৃত্তির কথাটাই সর্বাগ্রে সকলের মাথায় আসার কথা। সরকারকেও এর বাইরে রাখাটা উচিত হবে না। দাবি জানানো হয়েছে, দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি এসেছে কিন্তু আন্দোলনকারীরা সে বিষয়টিকে এড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এক্ষেত্রে কী করণীয় ছিল? কোটা সংস্কার করা নিশ্চয়ই? কিন্তু সংস্কারের রূপরেখা কোথায়? কারা সেটিকে সমর্থন দিচ্ছে বা কারা বিরোধিতা করছে, সেটা কি জানা গেছে? যায়নি। অতএব, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, (আজ ১১ এপ্রিল ২০১৮) তা কোনোভাবেই অযৌক্তিক নয়। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, আলোচনার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেটা মানা হয়নি; কোটা থাকলেই কেউ না কেউ মনে করবেন যে, সেটা তার পক্ষে যাচ্ছে না এবং তরুণ নারীরাই যখন চাইছেন যে, তাদের কোটা দরকার নেই, সুতরাং কোটা প্রথাটিই তুলে দেওয়ার পক্ষে তিনি মত দিয়েছেন। এখন আন্দোলনকারীরা হিসাব করুন যে, কে কী পেলেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে যারা অভিমান মনে করছেন, তারা প্রকারান্তরে প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাকেই খাটো করছেন। হয়তো তিনি নারী বলেই এ রকমটি ভাবছেন কেউ কেউ, তার জায়গায় একজন পুরুষ প্রধানমন্ত্রী এরকম ঘোষণা দিলে হয়তো সেটাকেই ঠিক মনে হতো। কোটা কোটা করে দেশের ভেতরে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তাকে আরও বাড়তে দিলে রাষ্ট্রের যে অপরিমেয় ক্ষতি হতো, তা বন্ধ করার এর চেয়ে ভালো উপায় হয়তো অনেকেরই মাথায় ছিল। কিন্তু শুরুতেই আলোচনার পথ বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দাবিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া পক্ষটি ব্যতিক্রম কোনও ঘোষণা দিলে সেটি তারা মেনে নিতো বলে মনে করার কোনও কারণ আছে কি?

আন্দোলন হলো কিন্তু তারপর?

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা কাল সকাল পর্যন্ত সময় নিয়েছেন তাদের অবস্থান জানানোর জন্য। কয়েক রাত উৎকণ্ঠায় কাটানোর পর একটি গুজবহীন রাত হয়তো দেশবাসী কাটাবে। আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বিশ্রামে থাকবে। কাল হয়তো নতুন কোনও জল্পনা-কল্পনা নিয়ে শুরু হবে নতুন কিছু। কিন্তু তাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খুব একটা লাভবান হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না। সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি হলো এদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীর। আন্দোলনকারী নারীদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেই বলছি, জেনে-শুনে-বুঝে যে কুয়োয় আমরা আজকে ঝাঁপ দিলাম, সেখানে ফুলের বাগিচা নেই, আছে কেবল নিকষ অন্ধকার; অন্ধকারে পথ হাঁটতে আমরা প্রস্তুত তো? তখন কি আজকের আন্দোলনের পুরুষ-সঙ্গীরা আপনার পাশে থাকবে? এর আগে কখনও থাকেনি, সামনে থাকবে সে নিশ্চয়তাও নেই মনে হয়।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

masuda.bhatti@gmail.com

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn