খুনসুটিতে মেতে উঠেছিল শুটিং স্পট!
একসঙ্গে শমী কায়সার, মাহফুজ আহমেদ ও আফসানা মিমি
আকাশে মেঘের ভেলাগুলো ভেসে বেড়ায় দল বেধে। আচমকা বাতাসে একটু এলোমেলো হয়ে আবারও একই পথে যাচ্ছে। বৃষ্টি আসবে কথাটি সত্য হয়ে ঝরে পড়ল অনবরত। দক্ষিণা বারান্দায় এমনও ক্ষণে হাসির শব্দ শুনে ভাবনার কেন্দ্রতে কিছুটা ভাটা পড়ে। মুখ পিছনে ফিরিয়ে দেখি একজন বালক ও দুইজন বালিকা হাসছে।
তাদের চোখ, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চোখের পলক পড়েনা প্রকৃতির। হাসি, যেন বসন্তের বাতাসে মিশে গিয়ে ভেসে আসে মৃদু মৃদু ছন্দে। কথা, কোকিলা কণ্ঠে কথা শুনে প্রেমে পড়ে কোকিলও চুপ হয়ে যায়। এমনটা শুধু বলা যায় সুন্দরের প্রেমে পড়ে। তাদের চোখের ভাষা, হাসি, কথা। সবই মুগ্ধ হয়ে থমকে যায় তাদের রুপে। হোক সে বালক কিংবা বালিকা।
তাদের বন্ধুত্ব গত ২৫ বছর আগে থেকে। শুধু যে বন্ধু এমনটা নয় তারা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর তারকা। তাদের নামের জোয়ার সারা দেশেই আছে। মানে এমন কেউ নেই যে তাদের নাম মুখস্ত নেই। একজন অন্ধ মানুষকেও যদি বলা হয় তাদের নাম, তাহলে অনায়াসেই বলে দিবেন, আরে চিনি মানে তারা তো আমার প্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রী। হাস্যজ্জল সেই বালকটি হলেন মাহফুজ আহমেদ। অন্যদিকে বালিকা দুজন হলেন আফসানা মিমি ও শমী কায়সার। তাদের ২৫ বছরের বন্ধুত্ব হলেও প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়ে তিনজন একসঙ্গে অভিনয় করছেন ‘কালো চিঠি’ নামের একটি নাটকে। রচনা মাসুম শাহরিয়ার ও পরিচালনা করছেন জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। অবশ্য তার শরীরে ছিল ১০৪ ডিগ্রী জ্বর। তবুও কাজ ভালোবেসে করেই যাচ্ছেন নির্মাণ।
মিডিয়াতে দীর্ঘ একটা পথ চলতে হয়েছে তাদের একসঙ্গে। কিন্তু কখনও কোন কিছুতেই জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করা হয়নি। শুধু বন্ধুত্বটাই ছিল এতদিন। যাক এবার তো একসঙ্গে একটি কাজ করা হলো তাদের। স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে এই নাটকটি। এত বছর পরে তিন বন্ধুর একসঙ্গে অভিনয় করা হচ্ছে। বন্ধুত্বের একটু খুনসুটি তো হতেই হয়। আর তাইতো যতক্ষণ ছিলেন তারা। একটু দুষ্টুমি, একটু হাসি, একটু চুপিসারে কথা বলা। তারপর একসঙ্গে দুপুরে খাওয়া। ঠিক আবার দৃশ্যধারণের সময় নিজেদের চরিত্রে প্রবেশ করেছেন তারা।
এই নাটকে জনপ্রিয় এই তিনজন ছাড়াও অতিথি হিসেবে অভিনয় করেছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ও নাজিরা মৌ। সঙ্গে আছেন আজম খান। অন্যদিকে নাটকটি প্রয়োজনা করেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। আসছে ঈদে নাটকটি এটিএন বাংলার বিশেষ ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে।
এসব জানতে কথায় কথায় সময় গড়িয়ে যায়। ওদিকে আকাশে মেঘের কোন চিহ্ন নেই। সূর্য তার রূপ ফিরে পেয়ে তাপ বিতরণ করে চলছে নিয়ম মতো। কিন্তু এদিকে থেমে নেই মাহফুজ, মিমি ও শমী’র মাতামতি। চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। তাদের এই বন্ধুত্ব আনমনে কিছুক্ষণ দেখে বুঝেছি তারা মেতেছেন বন্ধুত্বের খুনসুটিতে। এবার নিজেদের গন্তব্যে ফেরার পালা। তবে ফেরার আগে বলে রাখি পাঠকের জন্য, নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে এখন হয়তো তারা আর নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু ধরে রেখেছেন তাদের বন্ধুত্ব।