গল্পটা না লিখে পারলাম না
শাহরীয়ার বিপ্লব(ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)
এক ঘরে নানী আর নাতনী থাকে। পাড়ার বদমাইশ ছেলের কুনজর পড়লো নাতনীর উপর। একদিন সে রাতে ঘুমের মধ্যে ঘরে ঢুকে নাতনী যে খাটে ঘুমায় সেই খাটে নাতনী মনে মরে নানীকে ঝাপটে ধরে। এই সন্ধ্যা বেলায় নানী খাট বদল করলো। বদমাইশ লোকটি না জেনে নানীর মুখে হাত দিল। ঘুম ভেংগে নানী জিজ্ঞেস করলো কে তুমি? লোকটি উত্তর দিলো, চুপ। আমি আজরাইল। নানী বলে, বাবা…., অবশেষে আপনেও……?
লোকদেখানো দানখয়রাত সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিল। আর ছিল বলেই প্রায় সব ধর্মে বিশেষ করে ইসলামে লোকদেখানো দান নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি কঠোরতা ও সতর্কতার জন্যে বলা হয়েছে, এমনভাবে দান করো যেন, ডান হাতে দান করলে বাম হাত না জানে। রাজনীতিকগন এই লোকদেখানো দানে এডভান্স। সবাই না। সরকারের কার্যক্রম অবশ্য জবাবদিহিতার অংশ হিসাবে প্রচার করে। আমার স্ত্রী রাজনীতি করেন। তিনি যতটা না প্রচার করেন তার ফলোয়ারগন আরো বেশী প্রচার চান। পানিতে নেমে প্যান্ট ভিজিয়ে এই কালচারে নতুনত্ব দিয়েছিলেন সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ। অবশ্য উনার গানটি এখনো হৃদয়কে টাচ করে। এখন সবাই পানিতে নামে। বুঝাই যায় ফটোসেশন। সবই সয়ে যায়। চোখ অভ্যস্ত হয়ে গেছে। অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে। রাজনীতি বিদদের পাশাপাশি সরকারী আমলাদের সরকারী টাকায় এইসব দেখলে হাসতেও পারি না, কানতেও পারি না। জবাবদিহিতার কাজ রেখে, সরকারি ত্রাণের সঠিক বিতরণ হচ্ছে কি না, ওয়ার্ড পর্যায়ে হাজার হাজার অভিযোগের নিষ্পত্তি না করে, তদন্ত ও শুনানীর নামে মাসের পর মাস পার করে, রুটিন ওয়ার্ক রেখে, টেবিলের ওপর শত শত ফাইল জমা রেখে তারা যেভাবে জনপ্রিয় হবার কৌশলে ব্যস্ত। তা দেখে রাজনীতিবিদগনও লজ্জা পান। সুনামগঞ্জের একজন সাবেক কর্মকর্তা, শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্যে ঢাকায় যে হারে তদবির করেছিলেন, তা রীতিমতো অপমানজনক।
আমলা-রাজনীতিবিদ গনের বিষয়টা পুরনো। গা সওয়া। কিন্তু আমাদের হুজুরগন ইদানিং যে ভাবে পানির মধ্যে হাঁটুর উপরে পাজামা তুলে সেলফি মারছেন। এক মগ চাউল ঢালতে যখন ১৫ জন হুজুর সবাই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসেন। ছোট বাচ্চাটি যে কিনা ক্ষিদার জ্বালায় আর হাসতে পারছে না, সে কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবে? অথচ হুজুরগন ছোট বাচ্চাটির হাতে ক্ষুদ্র একটা প্যাকেট দিয়ে ছবি তোলার জন্যে যেভাবে পানির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি দেখলাম—–
আমার বলতে ইচ্ছা হয় অবশেষে আপনারাও———? ছবি তোলা জায়েজ না নাজায়েজ এই ফতোয়া মনে হয় আজকাল বাতিল হয়ে গেছে।