ঘুষের মামলায় অব্যাহতি পেলেন এসকে সিনহা
বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার করা ঘুষের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। গত ৪ ডিসেম্বর নাজমুল হুদার করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এসকে সিনহাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদা নারাজি আবেদন করেন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করে অব্যাহতির এ আদেশ দেন। এসকে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে গত ৪ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈযদ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে।
রোববার(১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা ছিল। যার মধ্যে নাজমুল হুদার মামলায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা অপর মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচার শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এসকে সিনহার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। পরে দুদক তদন্ত শুরু করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার (নাজমুল হুদা) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে ২ কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই এই উৎকোচ চাওয়ার পর তিনি (নাজমুল হুদা) প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেও তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। তবে এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার কারণে মামলা দায়ের থেকে তখন পিছপা হন তিনি। তদন্ত শেষে দুদক জানায়, প্রাথমিকভাবে মামলাটি কাল্পনিক ও সাজানো প্রমাণিত। অসৎ উদ্দেশ্যে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে নাজমুল হুদা মিথ্যা মামলা করেছেন।