চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ মামলার আসামি এক কারাবন্দি নিহত হয়েছেন। তার নাম অমিত মুহুরী। বুধবার রাতে কারাগারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। অমিত মুহুরী নিহতের পর কারাগারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।  চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাছির আহমেদ সংঘর্ষ ও নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কারাগার সূত্র জানায়, ৩২ নম্বর সেলে রিপন নামের একজনের ‘ইটের’ আঘাতে নিহত হন অমিত। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অমিতকে মৃত ঘোষণা করেন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অনুসারী ছিলেন অমিত। পুলিশ জানায়, অমিতের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামিও তিনি।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের এনায়েতবাজার এলাকার রানীরদিঘি এলাকা থেকে একটি ড্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে বোমা রয়েছে ভাবা হলেও ড্রাম কেটে ভেতরে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ গলে যাওয়ায় তখন পরিচয় বের করা যায়নি। পরে এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ৩১ আগস্ট ইমাম হোসেন ও শফিকুর রহমান নামের দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানান, ড্রামের ভেতরে পাওয়া লাশটি অমিতের বন্ধু নগর যুবলীগের কর্মী ইমরানুল করিমের। ৯ আগস্ট নগরের নন্দনকানন হরিশ দত্ত লেনের নিজের বাসায় ইমরানুলকে ডেকে নেন অমিত। এরপর বাসার ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অমিতকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn