চাপ দিয়ে দাবি আদায় করা যাবে না :প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বাজেট ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকায় উন্নীত করে দেশকে সাধ্যমত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলের বেতন-ভাতা, অনুদান তাঁর সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি সব জায়গায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে, কাউকে বঞ্চিত করা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতা একটি মহত্ পেশা, আপনাদের হাতেই রয়েছে জাতির ভবিষ্যত্। কি ধরনের শিক্ষাটা আপনারা দিয়ে যেতে পারলেন যাতে ভবিষ্যত্ প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, দেশকে আরো উন্নত করতে পারবে- সেটাই হচ্ছে বড় কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষকদের আরো আধুনিক হতে হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটা দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে শিক্ষার প্রসার ও উত্কর্ষ সাধনে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনই দেশে শিক্ষার হার বাড়াতে পারেনি। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে দেশের সাক্ষরতার হার তাঁর সরকারের রেখে যাওয়া ৬৫ দশমিক ৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ৪৪ শতাংশে নিয়ে আসে। অথচ, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা আরো বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের পদ সরকারি করেন। জাতির পিতার দেখানো পথেই তাঁর সরকার ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং এসব বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেইন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ভবন, প্রকল্প ও স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেগুলো হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট, স্বাধীনতা ম্যুরাল ১৯৫২ থেকে ১৯৭১, কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ডরমেটরি ভবন, আইসিটি ভবন, সিনেট ভবন, কর্মকর্তা ভবন ও কর্মচারী ভবন, বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ১০৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজ-শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সিইডিপি)। অনুষ্ঠানে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জনকারী কলেজের অধ্যক্ষদের হাতে সম্মাননা স্মারক, পুরস্কারের চেক এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজ নামচা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহী কলেজ, জাতীয় পর্যায়ে প্রথম এবং সরকারি কলেজসমূহের মধ্যেও প্রথম স্থান, জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়-সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা, জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় কারমাইকেল কলেজ, রংপুর, জাতীয় পর্যায়ে ৪র্থ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ বরিশাল এবং জাতীয় পর্যায়ে ৫ম স্থান অধিকার করে- সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া। সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজ, ঢাকা, জাতীয় পর্যায়ে সেরা মহিলা কলেজ এবং ঢাকা কমার্স কলেজ জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজের পুরস্কার লাভ করে।