চীন-পাকিস্তানকে সামলাতে নৌশক্তি বাড়াচ্ছে ভারত
চীন ও পাকিস্তানের যৌথ পরমাণু হামলা চালানোর আশঙ্কা মাথায় নিয়ে তা প্রতিরোধের সক্ষমতা অর্জনে নৌবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এ লক্ষ্যে সাবমেরিন বহরের আকার বাড়ানো হচ্ছে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ছায়াযুদ্ধ চলার মধ্যে এ উদ্যোগের খবর এল। এদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ‘পঞ্চম প্রজন্মের’ মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনাও করছে ভারত। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ভারত ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এজন্য রাশিয়া, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স ও জাপান- এ ছয়টি দেশের কাছ থেকে সাবমেরিন আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহেই এ ছয়টি দেশের সাবমেরিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ পাঠিয়েছে নয়াদিলি। পরিস্থিতি প্রতিক‚ল হতে পারে ধরে নিয়ে চীন এবং পাকিস্তানে একসঙ্গে পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখতে চায় ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী। সে কারণে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ২৮টি সাবমেরিন হাতে রাখতে চাচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন, ৬টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড অ্যাটাক সাবমেরিন এবং ৪টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন।
এ মুহূর্তে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে সাবমেরিনের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন ও দুটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন। ভারতের নৌবাহিনী সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্রে লুকিয়ে প্রতিপক্ষের ভ‚খণ্ডে নতুন এ ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনগুলো থেকে যেন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায় এবং সাবমেরিনগুলো যেন ভারতে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র অনায়াসে ব্যবহার করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হবে বিদেশি সাবমেরিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনগুলো থেকে দূরপালার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা রাখতেও বলা হবে। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষের ভ‚খণ্ডে পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতা ভারতের রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সেই সক্ষমতা ভারত আরও অনেক বাড়িয়ে নিতে চাচ্ছে। এদিকে ভারতের কাছে অত্যাধুনিক ‘পঞ্চম প্রজন্মে’র মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। ভারতকে যুদ্ধবিমান বিক্রিতে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার মিগ কর্পোরেশনের প্রধান জানিয়েছেন, টেন্ডার পাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মহাসাগরেও: ডোকলামকে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা এবার ভারত মহাসাগরেও ছড়াচ্ছে। ভারত মহাসাগরে চীন তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে। বেইজিংয়ের এ উদ্যোগ নয়াদিলিকে আরও চাপে ফেলেছে। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের গবেষণা ফেলো শশাঙ্ক যোশী বলেন, ডোকলাম এলাকায় উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীন এখন সর্বত্রই ভারতকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে চীনের অব্যাহতভাবে নৌশক্তির উপস্থিতির জবাবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান মালাবার এক্সারসাইজ নামে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। চীন সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে প্রথম কোনো নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এ নৌঘাঁটি নির্মাণকে নিজের দেশের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে ভারত। ভারতের সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, মালাবার অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনীর ১৩ থেকে ১৪টি জাহাজের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লিউইয়াং-৩ শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার, গোয়েন্দা জাহাজ ও সাবমেরিন। যোশী বলেন, ভারত মহাসাগরে চীনের নৌবাহিনীর উপস্থিতি একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। নয়াদিলি চীনের এসব উদ্যোগের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে।
সেটা যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ভারতের মালাবার হিল যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। ভারত ঘেঁষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেরিটাইম পলিসি ইনিশিয়েটিভের প্রধান অভিজিত শিং বলেন, ‘ওই সামরিক মহড়ায় সাবমেরিনসহ ২০টির মতো যুদ্ধজাহাজ এবং শতাধিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে চীনের প্রতি ভারত যে বার্তাটা দিতে চাচ্ছে, সেটা একেবারেই পরিষ্কার।’ ভারত মহাসাগরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর যে উপস্থিতি তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে মালাবার হিলকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান হিসেবে দেখেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা।
এজন্য রাশিয়া, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স ও জাপান- এ ছয়টি দেশের কাছ থেকে সাবমেরিন আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহেই এ ছয়টি দেশের সাবমেরিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ পাঠিয়েছে নয়াদিলি। পরিস্থিতি প্রতিক‚ল হতে পারে ধরে নিয়ে চীন এবং পাকিস্তানে একসঙ্গে পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখতে চায় ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী। সে কারণে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ২৮টি সাবমেরিন হাতে রাখতে চাচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন, ৬টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড অ্যাটাক সাবমেরিন এবং ৪টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন।
এ মুহূর্তে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে সাবমেরিনের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন ও দুটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন। ভারতের নৌবাহিনী সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্রে লুকিয়ে প্রতিপক্ষের ভ‚খণ্ডে নতুন এ ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনগুলো থেকে যেন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায় এবং সাবমেরিনগুলো যেন ভারতে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র অনায়াসে ব্যবহার করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হবে বিদেশি সাবমেরিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনগুলো থেকে দূরপালার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা রাখতেও বলা হবে। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষের ভ‚খণ্ডে পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতা ভারতের রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সেই সক্ষমতা ভারত আরও অনেক বাড়িয়ে নিতে চাচ্ছে। এদিকে ভারতের কাছে অত্যাধুনিক ‘পঞ্চম প্রজন্মে’র মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। ভারতকে যুদ্ধবিমান বিক্রিতে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার মিগ কর্পোরেশনের প্রধান জানিয়েছেন, টেন্ডার পাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মহাসাগরেও: ডোকলামকে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা এবার ভারত মহাসাগরেও ছড়াচ্ছে। ভারত মহাসাগরে চীন তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে। বেইজিংয়ের এ উদ্যোগ নয়াদিলিকে আরও চাপে ফেলেছে। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের গবেষণা ফেলো শশাঙ্ক যোশী বলেন, ডোকলাম এলাকায় উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীন এখন সর্বত্রই ভারতকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে চীনের অব্যাহতভাবে নৌশক্তির উপস্থিতির জবাবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান মালাবার এক্সারসাইজ নামে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। চীন সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে প্রথম কোনো নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এ নৌঘাঁটি নির্মাণকে নিজের দেশের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে ভারত। ভারতের সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, মালাবার অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনীর ১৩ থেকে ১৪টি জাহাজের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লিউইয়াং-৩ শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার, গোয়েন্দা জাহাজ ও সাবমেরিন। যোশী বলেন, ভারত মহাসাগরে চীনের নৌবাহিনীর উপস্থিতি একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। নয়াদিলি চীনের এসব উদ্যোগের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে।
সেটা যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ভারতের মালাবার হিল যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। ভারত ঘেঁষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেরিটাইম পলিসি ইনিশিয়েটিভের প্রধান অভিজিত শিং বলেন, ‘ওই সামরিক মহড়ায় সাবমেরিনসহ ২০টির মতো যুদ্ধজাহাজ এবং শতাধিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে চীনের প্রতি ভারত যে বার্তাটা দিতে চাচ্ছে, সেটা একেবারেই পরিষ্কার।’ ভারত মহাসাগরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর যে উপস্থিতি তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে মালাবার হিলকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান হিসেবে দেখেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা।