চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌরারং ইউপির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা (অভিযোগ) হয়েছে। সোমবার সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন গৌরারং ইউপির রাধানগর গ্রামের হাজী মো. গিয়াস উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্যকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর থানার অচিন্তপুর মৌজার ৪০ নং জে,এল-এর ১ নং খতিয়ানের ১৮৩ নং দাগের ৩.৩৫ শতক সরকারি ডোবা রকম ভূমি (হরিয়ার ডোবা) গত ১৯৮৯ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে ১৩৯৫-১৩৯৬ বাংলা সনে টোকেন খাজনা ২ টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে জনসাধারণের প্রথাগত অধিকারে ন্যস্তকরণ আইনে গ্রামবাসী ভোগ দখল করে (ওই ডোবার পানি জমির চাষাবাদে ব্যবহার করা হয়) আসছেন।
সম্প্রতি রাধানগর গ্রামের হাজী মো. গিয়াস উদ্দিন জানতে পারেন ওই সরকারি ডোবা রকম ভূমি জাল দলিলমূলে গৌরারং ইউপির লালপুর গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম নিজের নামে রেকর্ড করেন।
ওই ডোবা রকম ভূমি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের একাধিক তদন্তেও সরকারি খাস জমি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও ওই ডোবার ভূমি ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন।
অভিযুক্ত গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বলেন,‘ আদালতে এই ধরনের কোন মামলা হয়েছে বলে আমি জানি না। সরকারি জমি যদি হয় এটা তাহলে তাদের হয় কিভাবে ? জাল দলিল হলে তারা প্রমাণ করুক। ’ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন,‘ ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি ভূমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। তাই গিয়াস উদ্দিন প্রতিকার চেয়ে আদালতে অভিযোগ করেছেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্যকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।