মাহবুব আলম ::

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে থেকে টানা বৃষ্টিতে ছাতকের জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। দু’দিন থেকে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছেন উপজেলাবাসি। আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে লাল মিয়া(৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। সে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির বেরাজপুর গ্রামের ছিদ্দেক আলীর পুত্র। শনিবার প্রতিদিনের ন্যায় সকালে গবাদি পশু নিয়ে বটের নদী পার হয়ে ওপারে যান লাল মিয়া। গরু চরানোর পাশাপাশি ঘাস কেটে বটের নদী পারি দিয়ে বাড়িতে ফিরলে সারা দিনের ঝড়-বৃষ্ঠিতে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার সকালে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়া উপজেলার কালারুকা, দিঘলবন্দ, আরতানপুর, খারগাঁও, মাধবপুর, হাসনাবাদ, রাজাপুর, খাইরগাঁও, আকুপুর, মোহনপুর, তেরাপুর, তাজপুর, ভরাংপার, আলমপুর, মাঞ্জিহারা, গন্ধর্ভপুর, বলারপীরপুর, মামন্দপুর, জামুরাইল, নূরুল্লাপুর, রামপুর, উজিরপুর, রায়সন্তেুাষপুর, গড়গাঁও, গোবিন্দগঞ্জ, তকিপুর, সুহিতপুর, বুড়াইরগাঁও, আলাপুর, জালালপুর, কটালপুর, হালকেয়ারি, পীরপুর, মল্লিকপুর, মুক্তারপুর, খাইরগাঁও, লক্ষীপাশা, পালপুর, জটি, বারগোপি, কল্যাণপুর, দোলারবাজার, মঈনপুরসহ আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার দু’শতাধিক গ্রামের বিদ্যুতের খুটি ও লাইনের তারের উপর গাছ ও বাঁশ পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। শনিবার ও রবিবার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্যহত হচ্ছে এখানকার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। এ ব্যাপারে ছাতক বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল হক ও সহকারি প্রকৌশলী আলা উদ্দিন জানান, রোববার সন্ধ্যায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ দেবার জন্যে প্রাণান্তকর প্রচেষ্ঠা চলছে। এমূহুর্তে ৪টি ফিডারের মধ্যে ৩টি ফিডার চালু করা হয়েছে। তবে একটি ফিডার চালুর জন্যে শ্রমিকরা কাজ করছে বলে জানান তারা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn