হাওরাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর অন্তর্ভূক্ত বিশেষ বরাদ্দের চাল ঈদের সময় ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের সময়েও এ দামে চাল বিক্রি করেননি ডিলাররা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, একের পর এক ফসলহানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কৃষকের উপর এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হিসেবে ছাতকে ১৫ টাকা কেজি মূল্যে খোলাবাজারে চাল বিক্রির জন্য ১৪ জন  ডিলার নিয়োগ করে তাদেরকে সরকারী চাল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ডিলাররা এসব চাল খোলাবাজারে বিক্রি না করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৫ টাকা কেজি মূল্যে খোলাবাজারে চাল বিক্রি জন্য ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৮৪ মেট্রিক টন সরকারী চাল। কিন্তু ডিলাররা সপ্তাহে এক-দুদিন দু-একঘন্টা চাল বিক্রি করে বাকি চাল ব্যবসায়ীদের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মানুষের।
এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষরা খোলাবাজারে চাল কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মেট্রিক টন চালের বিপরীতে ডিলাররা ১৩ হাজার টাকা জমা দেন। সেই চাল ২৮ হাজার টাকা মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মিয়া, জাকির হোসেন, শামসুল ইসলাম, আরজু মিয়া, বাবুল মিয়া প্রমুখ জানান, তারা খোলাবাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারছেন না। রাজু তালুকদার, ফয়জুল কবির লাকিসহ কয়েকজন ডিলার জানান, চাল উত্তোলন করে তারা সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এলাকায় বিক্রি করছেন। ছাতক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাহাব উদ্দিন জানান, সঠিক ভাবেই ডিলারদেরকে বরাদ্দের চাল দেয়া হচ্ছে। চাল বিক্রিতে যাতে অনিয়ম না হয় সে ক্ষেত্রে সকল এলাকায় তদারকির জন্য ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn