হেলাল আহমদ-

ছাতকের সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মান কাজ এখনও শুরু হয়নি। ইতোমধ্যে মন্ত্রীসভায় একনেক বৈঠকে সুরমা সেতু নির্মান প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার প্রায় ১০মাস অতিবাহিত হয়েছে। কবে কাজ শুরু হতে পারে এ ব্যাপারেও স্পষ্টভাবে কেউ কিছু বলতে পারছে না। সেতু নিমাণ হবে, হচ্ছে করেই সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় সেতুর দু’তীরে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ২০০৪ সালে ছাতক পৌরসভার বাজনামহল ও নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাপন এলাকায় সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার। ওই বছরের ২৩ আগস্ট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে জানুয়ারীতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছিলো এই সেতুটির নির্মান কাজ। সেতুটি নির্মানে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিলো তিন বছর। শুরু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর দুই তীরে সেতুটির চারটি পিলার (স্তম্ভ) নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেতুর ভবিষৎ। এরপর প্রকল্পটি এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) থেকে বাতিল করা হয়। ২০১০ সালে এ সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ৫১ কোটি টাকার একটি নতুন সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এই আবেদনের পর আবার নতুন করে ১শ’১২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৯ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মানে ১শ’১৩ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়। ওই অনুমোদনের পর এখনও ঝুলে আছে নদীর দু’তীরের ভুমি অধিগ্রহনের কাজ।

জানা যায়, সেতু নির্মানে ভুমি অধিগ্রহনের বিষয়ে প্রায় দু’মাস পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে। সুরমা দুই তীরে প্রায় ২০ একর জমি অধিগ্রহনের  প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ হলেই এপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু হবে। সুরমা নদীতে সেতু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সেতু নির্মানে জমি অধিগ্রহনের ব্যাপারে ইতিমধ্যে এডিসি (রেভিনিউ) সেতু এলাকা পরিদর্শন শেষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় সেতুর প্রায় ৩০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবী করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn