ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন- সংগ্রামে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয়দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাড়ে ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা। ওইদিন রাজধানী ছাড়া দেশের অন্য সকল ইউনিট আনন্দ র্যালি করবে। ৫ই জানুয়ারি রাজধানীসহ সারা দেশে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে ছাত্রলীগ। ৬ই জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং রাজধানীতে অবস্থিত ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশ নেবেন। ৮ই জানুয়ারি দুপুর ২টায় ঢাবি’র স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ৯ই জানুয়ারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং ১১ই জানুয়ারি বেলা ১০টায় অপরাজেয় বাংলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবে সংগঠনটি। এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর দেয়ালগুলোতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস লেখা হয়েছে। নতুন ব্যানার ও পোস্টার টাঙ্গানো হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটি আজ ৭০ বছর পার করেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশ স্বাধীন ও পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে সংগঠনটি। আমরা বর্তমান কমিটি জাঁকজমকভাবে দিনটি পালন করবো। ইতিমধ্যে আমরা ছয় দিনের কর্মসূচিও গ্রহণ করেছি। তিনি আরো বলেন, রাজধানীবাসীর ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন র্যালি করার দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভাঙছি এবার। আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৬ই জানুয়ারি র্যালি করবো। তবে রাজধানীর বাইরে দেশের বাকি ইউনিটগুলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন র্যালি করবে।