ছাত্রলীগ চলে শেখ হাসিনার নির্দেশে, কোন সিন্ডিকেট নেই
ছাত্রলীগ ‘সিন্ডিকেট’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত নয়, এটা নিছকই একটা গুজব বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ। আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি তুলে ধরতে বুধবার ( ৯ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছাত্রলীগ সভাপতির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- অভিযোগ আছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত হয়। আসন্ন সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব কি সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই তৈরি হবে নাকি অন্য পন্থায়? জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগ ‘সিন্ডিকেট’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত নয়। সিন্ডিকেট শব্দটি ব্যবহার হয় কেবল মাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড ছাত্রলীগের কর্মকা-কে বির্তকিত করতেই এই সিন্ডিকেট শব্দটি ব্যবহার করে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরতœ শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়। তিনি যে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ তা বাস্তবায়ন করে ও তারই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীর নেতৃত্ব তৈরি হবে। এই নেতৃত্বই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগ সিন্ডিকেট শব্দের সঙ্গে পরিচিতও নয় আর পরিচালিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, আগামী ১১ মে বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হবে। প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শোক প্রস্তাব, সাংগঠনিক রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর দিকনিদের্শনামূলক বক্তৃতার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর সংগঠনের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা কতটুকু সফল বা ব্যর্থ তার নির্ণয় করার দায়িত্ব সারাদেশের ছাত্র সমাজের, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ কর্মীদের। আর গণমাধ্যমের বন্ধুদের। তবে আমরা আন্তরিকতায় কোন ত্রুটি রাখিনি। নিজের জন্য কোন সময় ব্যয় করিনি। সংগঠনের কাজেই সময় ব্যয় করেছি। সফল হওয়ার জন্যই কাজ করছি। নতুন কেমন নেতৃত্ব আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাল কর্মীর পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র। ক্লিন ইমেজ, দলের প্রতি কমিটেড, যার পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যিনি সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, আমরা শতভাগ সফল দাবি করতেই পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি কর্মসূচী পালন করেছি। যখন যে নিদের্শনা দিয়েছেন তা করেছি। আমাদের দায়িত্ব পালনকালে যত সফলতা আছে, সেগুলো ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের। আর যদি কোন ব্যর্থতা থাকে তার দায়ভার আমরা দুই ভাই (সভাপতি-সম্পাদক) নিয়ে নিচ্ছি। তবে একথা বলতে পারি, কোন ত্রুটি রাখিনি দায়িত্ব পালনকালে। সকলের সহযোগিতা পেয়েছি।