শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা। কিন্তু এই শিক্ষক সেই কাজটি কতটা করেন তা জানা নেই। তবে কোমলমতি ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে অসংলগ্ন অবস্থায় ছবি তোলেন অহরহ। এখানেই শেষ নয়, সেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন নিয়মিত। তবে এত কিছুর পরেও গ্রেপ্তার হওয়া তো দূরের কথা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তেই। ভারতের অাসামের হাইলাকান্দি জেলার কাতলিচেরা টাউনের একটি সরকারি স্কুলে পড়ান অভিযুক্ত শিক্ষক ফইজুদ্দিন লস্কর। তার এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এক নারীকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরায় গণপিটুনির শিকার হন তিনি। উত্তেজিত জনতা তার একটি আঙুলও কেটে নেয় সে সময়।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষকের সঙ্গে মেয়ের আপত্তিকর ছবি দেখার পর পুলিশে অভিযোগ করেন এক অভিভাবক। কিন্তু থানায় ডেকে ফইজুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এর জন্য স্থানীয় লালা থানার সিনিয়র অফিসার মনিরুল ইসলাম-কে দায়ী করছেন তারা। স্যোসাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্লাসের মধ্যেই ব্ল্যাক বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে-বসে এসব ছবি তোলা হয়েছে। এত দিন ধরে এ কাজ করার পরও কী ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে গেল বিষয়টা সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ার পরেও কেনো তাকে গ্রেপ্তার করা হল না উত্তর মেলেনি সেই প্রশ্নেরও।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn