জগন্নাথপুরঃসংবাদ সম্মেলনে সীমানা পিলার পুন:স্থাপনের দাবি
সংবাদদাতা ::জগন্নাথপুরের মেঘারকান্দি ও রূপসা মৌজা এবং দিরাই উপজেলার ভাইটগাঁও মৌজার সীমানায় বৃটিশ শাসনামলে স্থাপিত মূল্যবান সীমানা পিলারটি পুন:স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনাকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবিন্দ্র দাশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২০১১ সালে স্থানীয় হরিণাকান্দি গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ দাশের ছেলে রাখাল চন্দ্র দাশ এবং যোগেশ চন্দ্র দাশের ছেলে বাদল চন্দ্র দাশ এ পিলারটি তুলে নিয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। পিলারটি এলাকার জমিজমার সীমানা নির্ধারণের একমাত্র চিহ্ন ছিল, যে কারণে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তাছাড়া আমরা জানতে পারি এই পিলার গুলো বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে পিলার চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী তৎকালীন প্রশাসনের সকল দপ্তরে এই দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।’
অভিযোগে রাখাল চন্দ্র দাশ এবং বাদল চন্দ্র দাশকে অভিযুক্ত করা হলে প্রশাসন তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করলে তারা আশ্বস্থ করে যে, তারা পিলারটি সিলেটে তাদের এক বন্ধুর কাছে রেখেছে। তারা এটি গ্রামবাসীর কাছে ফেরত দিয়ে দেবে। কিন্তু আজো তা ফেরত দেয়নি। এমনকি সবচেয়ে আশ্চর্যেও বিষয হলো আমাদের এলাকার সংসদ সদস্য ও বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাহেব এ ব্যাপারে এসিল্যান্ডকে তদন্তের নির্দেশ দিলেও তিনি কোনো তদন্ত করেননি।’ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি এ ঘটনার রাখাল ও বাদলের সঙ্গে গ্রামের গোপেন দাশ লিটন, গোপাল দাশ, মনোরঞ্জন দাশ, হিরা দাশসহ আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। সম্প্রতি তারা সেই পিলারের চিহ্নিত জায়গার আশপাশ মাটি ভরাট করে ফেলেছেন। নিজেরা ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। ফলে সময় যত যাচ্ছে ততই আমাদের এলাকার জমি জমা সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ছে। তাই আমরা গ্রামবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে রাখাল ও বাদল গং কর্তৃক তুলে নেয়া পিলারটি উদ্ধার করে স্ব স্থানে পুনঃস্থাপনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুহের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিন্টু রঞ্জন দাশ, অজিত চন্দ্র দাশ, দ্বিনেশ দাশ, রনেন্দ্র কুমার দাশ।