সানোয়ার হাসান সুনু, জগন্নাথপুর :: সুনামগঞ্জের শস্য ভান্ডার খ্যাত জগন্নাথপুর উপজেলার বৃহৎ হাওর নলুয়া ও মই হাওরের বেড়িবাঁধগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ে অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের নির্ধারিত সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও উপজেলার হাওরের বেড়িবাঁধ গুলোর অর্ধেকও কাজ শেষ হয়নি। কয়েকটি প্রকল্পে এখনও মাটি পড়েনি। ফলে স্থানীয় কৃষকরা শঙ্কিত রয়েছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ আওতাধীন ২ নম্বর প্রকল্পের হরিনাকান্দি থেকে মনাইখালি নামক এলাকার অধিকাংশ স্থানে এখনও মাটি পড়েনি। এ প্রকল্পের ১.০৫৯ কিলোমিটার মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮ টাকা। ২ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি আল আমিন জানান, মাটি কাটার মেশিন হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। এদিকে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নলুয়া হাওরের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯নং প্রকল্পের বাঁধে দায়সারাভাবে নিম্ন মানের কাজ করা হয়েছে। ১০ নং প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে ১১ নম্বর প্রকল্পের সালিকা থেকে ডুমাখালির সংলগ্ন স্থান পর্যন্ত মাটি কাজ কাজ শেষ হয়নি। এবং ১২ নম্বর প্রকল্পের ডুমাখালির নামক স্থানেও মাটি পড়েনি। ১১ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি আব্দুস শহিদ এবং ১২ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মফিজ মিয়া জানিযয়েছেন, হাওরে মাটির তীব্র সংকট। অনেক চেষ্টার পর দুরবর্তী এলাকা থেকে মাটি আনতে হচ্ছে। আশা করছি দ্রত কাজ শেষ করতে পারব। পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ হচ্ছে। এই কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট ৬ কোটি টাকা।  হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথপুরেও বেড়িবাঁধের অর্ধেক কাজ ও শেষ হয়নি। এতে আমরা হতাশ। নীতিমালা অনুয়ায়ী দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অন্যতায় কৃষকদের নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামবো।

রবিবার জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজীর সঙ্গে আলাপ হলে তিনি জানান, হাওরের বেড়িবাধঁ গুলোর প্রায় ৮৫ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, হাওরের বেড়িবাধঁগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো কাজ করতে আমরা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn