বার্তা ডেস্ক :: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিমুলতলী এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে (১৮) কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গলগন্ডা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মো. আনন্দ (২২)। দু’জনই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চতর এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার বরাত দিয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি আলমগীর ভুইয়া জানান, নাইম নামে এক যুবক ও ওই কলেজছাত্রী গাজীপুর শহরে একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাঈম ওই কলেজছাত্রীকে কল দিয়ে জরুরি কাজের কথা বলে শিমুলতলী বটতলা এলাকায় দেখা করতে বলেন।
পরে একটি অটোরিকশাযোগে ওই কলেজছাত্রী শিমুলতলী বটতলায় যান। সেখানে আগে থেকেই নাঈম ও তার সহযোগী আনন্দ ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই স্থান থেকে আনন্দ ও মাসুদ রানা চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর নাঈম পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই কলেজছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় করে শিমুলতলী স্কুল গেট সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে ওই কলেজছাত্রীর বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নাঈম ও তার সহযোগী আনন্দ ও মাসুদ রানা তাকে জোড়পূর্বক ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এ সময় কলেজছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই কলেজছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাতেই এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনন্দ ও মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি নাঈম পলাতক রয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি নাঈমকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।- জাগো নিউজ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn