জাবিতে ভর্তি হতে এসে শ্রীঘরে ২ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী
এ বিষয়ে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সে অনুষদের সাক্ষাৎকার বোর্ডে ধরা না পড়লেও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তাদের হাতের লেখা যাচাই করলে উত্তরপত্রের সাথে লেখার অমিল পাওয়া যায়। আটককৃত অপরজন ভর্তিচ্ছুর নাম সীমান্ত দেবনাথ। তিনি নেত্রকোনা জেলার নকুল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে। তিনি বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদে (ই ইউনিট) ১১৬তম হয়ে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হতে এসেছিলেন। ভর্তির সময় হাতের লেখা ও কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেলে বাণিজ্যিক অনুষদের ডিন নিলাঞ্জন কুমার সাহা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেন। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েও পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের হাতে আটক না হয়ে পরবর্তী সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকেও পার পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবং পরবর্তী সাক্ষাৎকার বোর্ডে যেসব শিক্ষক ছিলেন তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। যার কারণে জালিয়াতি করা শিক্ষার্থীগুলো ধরা পড়ে নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার। সকল জালিয়াতকে ধরার জন্য আমরা সবাই সচেতনভাবে কাজ করেছি। আশা করছি কোনো জালিয়াত ভর্তি হতে পারবে না।