প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই বলে থাকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। কারণ প্রতি রাতে তখন কারফিউ হতো। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতারা গণভবনে দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তাঁর বহুদলীয় গণতন্ত্রের মানে হচ্ছে কারাগারে বন্দি সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া। জাতির পিতা যাদের বিচার করেছিলেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মন দিয়ে লেখাপড়া করার উপদেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লেখাপড়ায় ভালো না হলে নেতৃত্বেও ভালো হওয়া যায় না। আমি বলব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। খালি অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করলে চলবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্য সব কিছুই পড়তে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, সব মনে রাখতে হবে। দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না। দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না।

ছাত্রলীগের মূলনীতির কথা স্মরণ করিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ছাত্রলীগের যে মূল নীতি, সেই নীতি ধরে এগোতে হবে। শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার আলোক বর্তিতা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তোমাদেরই। মনে রাখতে হবে লেখাপড়ায় যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে ভবিষ্যতে সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি তুলে ধরেন। তাছাড়া পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn