জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার গল্প বললেন-গুগলের প্রধান নির্বাহী
গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই তার এক বক্তব্যে ‘তেলাপোকা তত্ত্বের’ কথা উল্লেখ করেছিলেন। ওই বক্তব্যে তিনি আত্মোন্নয়নে ‘তেলাপোকা তত্ত্বের’ ওপর আলোকপাত করেন।
সুন্দর পিচাইয়ের তেলাপোকা তত্ত্ব :
একটি রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাচ্ছিলেন এক নারী। ঠিক তখনই কোত্থেকে এক তেলাপোকা উড়ে এসে তার শরীরে বসল। তিনি ভয়ে আর্তনাদ শুরু করলেন। তেলাপোকা থেকে বাঁচতে ভয় এবং আতঙ্কে লাফালাফি শুরু করলেন তিনি। নারীটির দেখাদেখি রেস্তোরাঁয় থাকা অন্য গ্রাহকরাও ভয় পেলেন। নারীটি তার দেহ থেকে তেলাপোকাটি তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হলেন কিন্তু ততক্ষণে সেটি অন্য এক নারীর শরীরে গিয়ে বসল। ওই নারীটিও লাফালাফি ও আর্তনাদ করে তেলাপোকাটি তাড়ানোর চেষ্টা করলেন। এসব দেখে রেস্তোরাঁর ওয়েটার নারীটিকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলেন। দেহ থেকে তাড়িয়ে দিতে গিয়ে তেলাপোকাটি ওয়েটারের শরীরে গিয়ে পড়ল। ওয়েটার ধৈর্য ধরলেন এবং তেলাপোকার গতিবিধি দেখলেন। পরে আত্মবিশ্বাসী ওয়েটার তেলাপোকাটিকে নিজের আঙুল দিয়ে ধরলেন এবং রেস্তোরাঁর বাইরে ফেলে দিলেন।
কফি খেতে খেতে পুরো ঘটনাটি আমি দেখছিলাম। ঘটনাটি আমার মনে কিছু চিন্তার উদয় ঘটাল। ওই নারীদের নাটকীয় আচরণের জন্য তেলাপোকা কী সত্যিই দায়ী ছিল? যদি তাই হয় তাহলে ওয়েটার কেন বিরক্ত হয়নি? সে তো ঠিকঠাকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তেলাপোকাটি বাইরে ফেলে দিয়েছিল। তেলাপোকা নারী গ্রাহকদের বিরক্তির কারণ ছিল না। তেলাপোকার কারণে যে বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল তা থামাতে কর্তৃপক্ষের অপারগতাই নারী গ্রাহকদের বিরক্তির কারণ। আমি অনুধাবন করলাম, বাবা, বস কিংবা স্ত্রীর চিৎকার আমাকে বিরক্ত করে না। কিন্তু তাদের চিৎকার বন্ধ করার অপারগতা আমাকে বিরক্ত করে। রাস্তায় থাকা ট্রাফিক জ্যাম আমাকে বিরক্ত করে না। কিন্তু এই ট্রাফিক জ্যামের কারণে যে বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় তা সামাল দেয়ায় আমার যে অপারগতা সেটিই আমাকে বিরক্ত করে। সমস্যা নয়, সমস্যা সমাধানে আমার অপারগতাই জীবনে বিরক্তি বয়ে আনে।
গল্প থেকে যে শিক্ষা : আমি বুঝেছি, জীবনে প্রতিক্রিয়া নয়, সাড়া দেয়া উচিত। নারী গ্রাহকরা প্রতিক্রিয়াশীল ছিলেন। আর ওয়েটার শুধু সাড়া দিয়ে কাজটি করেছিলেন। প্রতিক্রিয়া সব সময়ই প্রবৃত্তিজাত অন্যদিকে সাড়া দেয়া সর্বত্রই সুচিন্তিত। জীবন বোঝার জন্য এর থেকে সেরা গল্প আর কি হতে পারে? কোন মানুষের জীবনে সবকিছু ঠিক আছে বলেই সে খুশি থাকে না। জীবনে ঘটতে থাকা প্রত্যেকটি ঘটনাতে তার আচরণ সঠিক বলেই সে খুশি থাকে। সূত্র : লিঙ্কডইন, প্রিয়টেক।
-আইটি ডেস্ক
কফি খেতে খেতে পুরো ঘটনাটি আমি দেখছিলাম। ঘটনাটি আমার মনে কিছু চিন্তার উদয় ঘটাল। ওই নারীদের নাটকীয় আচরণের জন্য তেলাপোকা কী সত্যিই দায়ী ছিল? যদি তাই হয় তাহলে ওয়েটার কেন বিরক্ত হয়নি? সে তো ঠিকঠাকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তেলাপোকাটি বাইরে ফেলে দিয়েছিল। তেলাপোকা নারী গ্রাহকদের বিরক্তির কারণ ছিল না। তেলাপোকার কারণে যে বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল তা থামাতে কর্তৃপক্ষের অপারগতাই নারী গ্রাহকদের বিরক্তির কারণ। আমি অনুধাবন করলাম, বাবা, বস কিংবা স্ত্রীর চিৎকার আমাকে বিরক্ত করে না। কিন্তু তাদের চিৎকার বন্ধ করার অপারগতা আমাকে বিরক্ত করে। রাস্তায় থাকা ট্রাফিক জ্যাম আমাকে বিরক্ত করে না। কিন্তু এই ট্রাফিক জ্যামের কারণে যে বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় তা সামাল দেয়ায় আমার যে অপারগতা সেটিই আমাকে বিরক্ত করে। সমস্যা নয়, সমস্যা সমাধানে আমার অপারগতাই জীবনে বিরক্তি বয়ে আনে।
গল্প থেকে যে শিক্ষা : আমি বুঝেছি, জীবনে প্রতিক্রিয়া নয়, সাড়া দেয়া উচিত। নারী গ্রাহকরা প্রতিক্রিয়াশীল ছিলেন। আর ওয়েটার শুধু সাড়া দিয়ে কাজটি করেছিলেন। প্রতিক্রিয়া সব সময়ই প্রবৃত্তিজাত অন্যদিকে সাড়া দেয়া সর্বত্রই সুচিন্তিত। জীবন বোঝার জন্য এর থেকে সেরা গল্প আর কি হতে পারে? কোন মানুষের জীবনে সবকিছু ঠিক আছে বলেই সে খুশি থাকে না। জীবনে ঘটতে থাকা প্রত্যেকটি ঘটনাতে তার আচরণ সঠিক বলেই সে খুশি থাকে। সূত্র : লিঙ্কডইন, প্রিয়টেক।
-আইটি ডেস্ক