সদ্য ঘোষিত সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১০নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে তৌফিক ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সহ-সভাপতির এই পদ নিয়ে দু’তৌফিকের লড়াই চলছে। দু’জনই নিজেকে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে দাবি করছেন। দুজনকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাদের শুভাকাংখীরা। এ নিয়ে সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগে চলছে মিশ্র সমালোচনা।নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কোন তৌফিককে  প্রকৃতপক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এই দুই দাবিদারই হচ্ছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা। একজন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমানের অনুসারীর অন্যজন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের অনুসারী। তবে দলের একাধিক সুত্রের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের অনুসারী তৌফিক ইসলাম হচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে ঐ পদের মালিক। দীর্ঘদিন ধরে  ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসুচীতে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। হৃদয় মাহমুদ নামের সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, নুরুল হুদা মুকুটের অনুসারী তৌফিক ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং সিলেট এমসি কলেজ লেখাপড়ার সুবাদে ঐখানেও এডভোকেট রঞ্জিত সরকারের বলয়ে রাজনীতি করেছেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকেও তৌফিক ইসলাম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব দিতে সরব। অপরদিকে মতিউর রহমান গ্রুপের অনুসারী তৌফিক ইসলাম ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তার ফেইসবুক আইডিতেও সাম্প্রতিক সময়ে এইরকম কোনো স্ট্যাটাস লক্ষ করা যায়নি। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে জানান, এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন ভালো বলতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে উনাকে পাওয়া যায়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :