টুং টাং শব্দে সরগরম কামার পাড়া
তালুকদার তানভীর:
প্রতিদিন টুং টাং শব্দই বলে দিচ্ছে সমাগত ঈদ। তারই ধুম পড়েছে এখন নগরীর কামার পাড়ায়। পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। নেই কোন অবসর। সাথে সহযোগী হিসেবে রয়েছে নিজেদের বউ সন্তানও। দিন-রাত ব্যস্ত সময় সময় পার করছেন এখন কামার শিল্পীরা। ছুরি, দা, চাকু, বটি, কুড়াল ও কাটারি তৈরি এবং শান দেয়ার কাজে ব্যস্ত এখন সবাই । তবে গতবছরের তুলনায় এবং সরঞ্জামাদির দাম একটু বেড়ে গেলেও হাসিমুখেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছেন ক্রেতারা।সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় , কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। দগদগে আগুনে লোহায় কামারদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। কামারের দোকানে শোনা যাচ্ছে টুং-টুং শব্দ। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে ছুরি, দা, চাকু, বটি, কুড়াল ও কাটারি ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ চলছে। সারা বছর কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদের সময়টা বারবারই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের।
কামার শিল্পীরা জানায়, এ পেশায় অধিক শ্রম ও জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে আমরা এখনও আঁকড়ে ধরে আছি। বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটেছেন কামারদের কাছে।কামার শিল্পী গৌরাঙ্গ বলেন, ৩০ বছর ধরে শিবগঞ্জে এই পেশায় আছি। আমার বাবা এ কাজ করে আসছেন সেই সুবাধে আমি এ কাজ করি। সারা বছর তেমন কাজ কাম না থাকলেও কুরবানির সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়।কাজির বাজার এলাকার দুলাল চন্দ্র কর্মকার জানান, এক সময় কামারদের কদর ছিল এখন তা আর নেই। এখন মেশিনের সাহয্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষের আকর্ষণ হারাচ্ছে। হয়তোবা এক সময় এই পেশাই আর থাকবেনা।