টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিশ্রাম চান সাকিব
টানা ক্রিকেটের ধকলের মধ্যে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিন ধরনের ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই তারকা অলরাউন্ডার। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি টুর্নামেন্ট তো রয়েছেই। তাই নিজেকে সতেজ ও ফুরফুরে রাখতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের বিশ্রাম চাইছেন সাকিব।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বরাত দিয়ে ক্রিকবাজ এমনটাই জানিয়েছে। বিসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিলেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলতি মাসেই ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ। প্রোটিয়া সিরিজকে সামনে রেখে সোমবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে বিসিবি। সাকিব যদি বিশ্রামের লিখিত আবেদন জমা দেন তবে ভাবনায় পড়ে যেতে পারে বোর্ড।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ক্রিকবাজকে বলেন, ‘সে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিলে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আমরা মাত্রই এটি শুনলাম। কিন্তু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই হয়নি।’ক্রিকবাজ জানায়, সাকিব জাতীয় দলের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চান। তবে ধকল কাটানোর লক্ষ্যে কিছুদিনের জন্য দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চান তিনি।ক্রিকবাজের মতে,, রোববার বিসিবির কাছে টেস্ট থেকে সাময়িক বিশ্রামের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিতে পারেন সাকিব। শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় এক বৈঠনে বসে বোর্ড। বৈঠক শেষে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।ক্রিকবাজের দাবি, টেস্ট থেকে সাময়িক বিশ্রামের ব্যাপারটি সাকিব বৃহস্পতিবার সর্বপ্রথম বিসিবি সভাপতি পাপনকেই জানিয়েছিলেন। অবসাদগ্রস্ততা কাটিয়ে ওঠা এবং সতেজ হয়ে ফেরার লক্ষ্যেই সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে কিছুদিন দূরে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সাকিব।
সাকিবের কারণেই নাকি দল ঘোষণায় বিলম্ব করছে বোর্ড। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণার কথা ছিল। তবে সেটি পিছিয়ে সোমবার দল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে ১৬ সেপ্টেম্বর বিমানে ওঠার কথা টিম বাংলাদেশের।এদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আশাবাদী, নিজের ইচ্ছায় পরিবর্তন এনে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলবেন। তবে সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়ার আগে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নান্নু।রোববার ক্রিকবাজকে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমি মনে করি, সে টেস্ট স্কোয়াডের অংশ হবে। আমরা তার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলে তবেই তার বিকল্প ভাববো। আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এটাই ভেবে নেব সে আমাদের টেস্ট স্কোয়াডের অংশ।’
যদি সাকিব ছয় মাসের জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্রামের অনুমতি চেয়ে বোর্ডের কাছে চিঠি দেন এবং বিসিবি সেটি অনুমোদন করে তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাটিতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও টেস্ট সিরিজেও সাকিবকে ছাড়া খেলতে হবে টাইগারদের। তিন ধরনের ফরম্যাটেই সাকিব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ছয় মাসের জন্য যদি তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান তবে সেটি সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিং লাইনে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করবে।