ঢাবিতে জালিয়াত চক্রের হোতাসহ আটক ১৫
এরমধ্যে ১২ জনকে ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিশ্ববিদ্যালয়। আটক ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা জালিয়াত চক্রের হোতা। ক-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার আগ থেকে তাদের খুঁজছিল সিআইডি। এরা হলেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা এবং ফলিত রসায়ন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাকি ১২ ভর্তিচ্ছু হলেন- নুর মোহাম্মাদ মাহবুব, ফরহাদুল আলম রানা, ইশরাক হোসেন রাফি, আব্দুল্লাহ আল মুকিম, রিশাদ কবির, আসাদুজ্জামান মিনারুল, ইশতিয়াক আহমেদ, জয় কুমার সাহা, রেজওয়ানা শেখ শোভা, মাশুকা নাসরীন, তারিকুল ইসলাম এবং নাসিরুল হক নাহিদ। এদিকে ভর্তি পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে রাত সোয়া তিনটায় প্রশ্নের একটি কপি ভর্তিচ্ছুদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন প্রিন্টই হয় সকালে। উল্লেখ্য, এক হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৯৮ হাজার ৫৪ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫৩টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৩৩টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৮৬টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।