তাহিরপুরঃ ছাত্রলীগ নেতা শিপলু হত্যা মামলার রায় ৩১ আগস্ট
ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিজদুজ্জামান শিপলু হত্যা মামলার রায় আগামী ৩১ আগস্ট এ মামলার দিন ধার্য্য করেছেন বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত সুনামগঞ্জ। রোববার যুক্তিতর্ক শেষে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিজ্ঞ বিচারক বাবু প্রণয় কুমার দাস এ রায়ের দিন ধার্য্য ঠিক করেন। বিষয়টি মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিপলু হত্যা মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি শরিফ উদ্দিন, সাবেক এসআই রফিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী হাসান উজ্জল সহ ৭ আসামী হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা এখন সুনামগঞ্জ জেল হাজতে রয়েছন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ মার্চ রাত ৩টার দিকে চারদলীয় জোঠ সরকারের শাসনামলে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামকে ভাটি তাহিরপুরের বাসায় তাহিরপুর থানার তৎকালীন ওসি শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে থানার এসআই রফিক সহ পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়। গ্রেফতারের বাঁধা দিলে পুলিশ শফিকুলের বাড়িতে থাকা বড়বোনের ছেলে তাহিরপুর জয়নাল আবেদীন কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান শিপলুকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতর মা আমিরুন্নেছা বেগম বাদী হয়ে ২০০২ সালের ২৩ মার্চ সুনামগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে থানার তৎকালীন ওসি শরিফ উদ্দিন, এসআই রফিক ও ঘটনার রাতে থানা পুলিশের সাথে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জল, ছাত্রদল কর্মী শাহিন, শাহজাহান, বিএনপি নেতা জুনাব আলী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। জুডিশিয়াল তদন্ত শেষে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট পরবর্তীতে ওই ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। রোববার শিপলু হত্যা মামলার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর পৌণে ০২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাবু প্রণয় কুমার দাস যাতে আসামীরা পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন ৩১ আগষ্ট এ মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করেন।