দুই শিক্ষককে পিঠিয়ে গুরুত্ব আহত করে করেছে একেই বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র। আহত অবস্থায় তারা এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনার এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা বাজার সড়কে ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিক্ষক উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের-কলেজ শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক মখলিছুর রহমান ও স্কুল শাখার বাংলা বিভাগের শিক্ষক মর্তুজা আলী।
আর অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পটিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আল-ইদ্রিস ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানায়,গত মঙ্গলবার বাংলা বিষয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে আল-ইদ্রিসের অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে একটি চড় মারেন শিক্ষক মখলিছুর রহমান। পরে এ ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষকরা মীমাংসা করে দেন। তবুও এ ঘটনার জেরে বুধবার রাতে স্থানীয় লাকমা বাজার থেকে কেনাকাটা করে নিজ বাসায় টেকেরঘাটে পায়ে হেঁটে ফেরার পথে আল-ইদ্রিস কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে মখলিছুর রহমানের ওপর হামলা করে। এ সময় আল-ইদ্রিসের হাতে থাকা কাঠের লাঠির একাধিক আঘাতে মখলিছুর রহমান আহত হন। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকর্মী মর্তুজা আলী ছাত্রকে থামাতে গেলেও তিনিও হামলার শিকার হয়।
এই বিষয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্র পটিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আল-ইদ্রিস ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আহত শিক্ষক মখলিছুর রহমান বলেন,এ ঘটনা আমাদের ধারণারও বাইরে ছিল। গত মঙ্গলবার ক্লাসের এ ঘটনার পর বিষয়টি সিনিয়র স্যার বিষয়টি সমাধান করে দেন। এ ঘটনার জেরে ন্যাকারজনক হামলা চালিয়েছে একাদশ শ্রেণির ছাত্র আল-ইদ্রিস ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন। এতে আমাদের দুজনেরই হাতে-পা ও শরীর রক্তাক্ত জখম হয়েছি।
টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ক্লাস চলাকালীন সময়ে অসদাচরণের জন্য শাসন করায় হামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পটিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আল-ইদ্রিস ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন। ঐসময় কাঠের লাঠির আগাতে শিক্ষকদের হাত ও পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হয়েছে। স্থানীয় টেকেরঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এই ন্যাকারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এই বিষয় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২২৮ বার