তাহিরপুর: চাল আটকের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাঃ নানা প্রশ্ন
তাহিরপুরে চাল আটকের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গোদাম কর্মকর্তাকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সুলেমানপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কতৃক চাল আটকের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ওইসব চাল আদৌ সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে পাচার করা হয়েছে কী না? নাকি প্রতিদ্ধন্ধি চাল ব্যবসায়ীদের ইন্দনে ওইসব চাল আটক করে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীকে মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চাল জব্দকারী থানার এসআই’র বিরুদ্ধে চাল ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারি অজয় কুমার দাস বাদী হয়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম আউলিয়াকে প্রধান আসামী করে খাদ্য গুদামের নৈশ প্রহরি কারী মিয়া, চাল কল মালিক আলী হায়দার ও চাল ব্যবসায়ী শফি আলমের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয় মঙ্গলবার মধ্যরাতে। ঐ মামলায় পুলিশ আলী হায়দার ও চাল ব্যবসায়ী শফি আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করেছে। উপজেলার সুলেমানপুর এলাকা থেকে সরকারি সীল মোহরযুক্ত ট্রলার বোঝাই ১’শ বস্তা চাল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জব্দ করেন। বিষয়টি থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নির্দেশে এই মামলা দায়ের হয়।’
এদিকে বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাহিরপুর ও বিশ^ম্ভপুর গোদামে রাখা ৫০ কেজি’র চালের বস্তার মজুদের হিসাব সঠিক পেয়েছেন দাবি করে বলেন, এ দু’ গোদাম থেকে চাল কালো বাজারে বিক্রয় বা পাচার করা হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, অনেক সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা বিতরনকৃত চালের খালি বস্তা পরিবহন ব্যয় মেটাতে বিক্রি করে দেন, ঐসব খালি বস্তা চাল কলের মালিকরা ক্রয় করে চালকলের ভাঙ্গনকৃত চাল বস্তায় ভড়ে চাল ব্যবসায়ীদের নিকট চাল বিক্রয় করে থাকেন। এদিকে উপজেলা সদরের চাল ব্যবসায়ী শফি আলমের সহোদর শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, প্রতিদ্বন্ধি ব্যবসায়ীদের ইন্দনে কোন কিছু বলার বা জানানোর সুযোগ না দিয়েই আমার ভাই শফি আলম ও চাল কলের মালিক আলী হায়দারকে আগাম আটক করে নিয়ে এসে পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে থানার এসআই বৃহস্পতিবার বলেন, আমি গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে চাল পাচারের বিষয়টি খবর পেয়ে সরকারি সীল শতাধিক বস্তা চাল জব্দ করি , ওইসব চাল সরকারি বিতরনকৃত খালি বস্তা ক্রয় করে চাল কল মালিক ভরে অন্যত্র বিক্রয় করেছেন কীনা এতসব জানার আমার সময় নেই এখন মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় শফি আলম ও আলী হায়দারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছি।’