তিন ম্যাচ খেলেই টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা!
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবে ৩ ম্যাচ খেলেছেন পৃথ্বী শ। কিন্তু এরই মধ্যে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এই কিশোরকে। হওয়াটাই স্বাভাবিক, এরই মধ্যে দুলীপ ট্রফিতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে সে নাম লিখিয়েছে যে! আর এর মাধ্যমে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে বসেছে সে।তার সেঞ্চুরিতেই লক্ষ্ণৌতে প্রথম দিন শেষে ভারত নীল দলের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৭১ রান তুলেছে ভারত লাল দল। ১৫৪ রান করার পরই ফেরানো গেছে ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন ব্যাটিং-বিস্ময়কে। দুলীপ ট্রফিতে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড এখনো শচীনের দখলে। ১৮ বছর বয়সের আগেই দুলীপ, রঞ্জি ও ইরানি ট্রফিতে সেঞ্চুরি করা একমাত্র খেলোয়াড়ও শচীন। পৃথ্বী দুলীপ আর রঞ্জি ট্রফিতে সেঞ্চুরি করলেও ইরানি ট্রফিতে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে পারেনি।ছেলেটি বড় হয়েছে মুম্বাইয়ের অদূরে ভিরারে। চার বছর বয়সে হারায় মাকে। আট বছর বয়সে বান্দ্রার রিজভি স্কুলে ক্রিকেটে হাতেখড়ি তার। বাবা পঙ্কজ শ ব্যবসা বন্ধ করে ৯০ মিনিট গাড়ি চালিয়ে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন।
১৪ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের কাঙ্গা লিগে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিল পৃথ্বী। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে রিজভি স্কুলের পক্ষে ৫৪৬ রান করেছিল মাত্র ১৫ বছর বয়সে। অনূর্ধ্ব-১৬ ভারতীয় দলে অধিনায়কত্বটাও করা হয়ে গেছে। রঞ্জির অভিষেকে দুই দশক পর মুম্বাইয়ের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করার পরপরই পৃথ্বীকে নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়।অনেক দিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের নজরে পৃথ্বী। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে পেয়েছে ‘ভীষণ প্রতিভাবান’ তকমা। মুম্বাইয়ের ছেলে হওয়ায় শচীনের সঙ্গে তুলনাটা অবশ্য অনুমিতই ছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন ‘বিস্ময়-বালক’ কতটা আলো ছড়ায়, সেটি সময়ের হাতে তোলা থাকলেও আগ্রহের আলোটা কিন্তু এরই মধ্যে নিজের দিকে টেনে নিতে পেরেছে সে। সূত্র: ক্রিকইনফো