দিরাই উপজেলা আ’লীগে কোন্দলের সুর
দিরাই :: সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবর্তমানে সুনামগঞ্জ-২ আসনের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দলের সুর বইছে। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মিছবাহ্ উদ্দিন সিরাজের উপস্থিতিতে দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়’র তার বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের কারণ হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার নৌকার বিরোধিতা করেছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন রায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া কে নিয়ে আলাদা বলয় তৈরি করেন এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই বক্তব্যের পর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগসহ উপজেলার তৃণমূলে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, শোনেছি দুই গ্রুপ আলাদা আলাদা প্রস্তাবিত কমিটি জেলা নেতাদের কাছে জমা দিয়েছে। এদিকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন রায় তার ফেসবুক পোস্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য পোস্ট করেন।
নিচে তা হুবুহুবু তুলে ধরা হল-
“গত ১০মার্চ এর উপজেলা নির্বাচন কোনো ব্যক্তি বা নেতার কথায় বা প্ররোচনায় করি নাই, যে দুজন সম্মানিত ব্যক্তি বা নেতাকে নৌকার বিপক্ষে দাঁড় করানোর ব্যর্থ চেষ্ঠা করা হচ্ছে, আমি নির্বাচন করেছি তৃণমূলের মানুষ ওনেতা কর্মীদের আবেগ, অনুভূতি ও ভলবাসার সম্মানার্থে কারণ ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মতামতের ভিওিতে প্রার্থী নির্বাচনের যে নির্দেশনা ছিল তা চলচাতুরীর মাধ্যমে উপেক্ষা করা হয়েছিল। আর এই তৃণমুলের কর্মী সমর্থকদের ভালবাসা ও আমার যুবলীগ সহযোদ্ধা ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে আওয়ামী পরিবারের প্রায় ৮০% ভোটার আমার পক্ষে রায় দেন যা আমাকে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে রেখেছেন। এই দোষে যদি দোষী হয়ে থাকি এর দায় আমার। ইদানীং লক্ষ্য করলাম আমাদের মেয়র সাব ওসাবেক উঃজেঃচে জনাব হাফিজুর রহমান সাব কে এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে, কারণ নির্বাচন চলাকালিন শুনলাম তারা দুনজন নৌকার পক্ষে বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য দিলেন। আমি শুধু তারা দুজনের কথাই বলব না, আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সামান্যতম টেলিফোন করেও বিভ্রান্ত করতে চাই নাই, অতএব যারাই উক্ত দুই সম্মানিত ব্যক্তিকে নির্বাচন কালীন সময়ে আমার পক্ষে দাঁড় করাতে চান আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করি।আবারও বলি তৃণমূলের শক্তিই আমার শক্তি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”