বার্তা ডেক্সঃঃঢাকার হাজারীবাগের বটতলা এলাকায় নিজের ছেলে ও মেয়েকে গলা কেটে খুন করার চেষ্টার পর বাবা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জাবেদ হাসান নামে ওই ব্যক্তি ও তার দুই সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর ছয় বছর বয়সী মেয়েটি মারা যায়। ছেলে ও বাবা চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে স্থানীয়দের ধারণা, হতাশা থেকে ওই ব্যক্তি নিজের দুই ছেলে-মেয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম জারিন হাসান রোজা (৬)। তার ভাই রিজন (১৩)। সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা মো. জাবেদ হাসান (৪৮) পেশায় ব্যবসায়ী। হাজারীবাগ বোরহানপুর বটতলা ১০ নম্বর গলিতে বাসার নিচে দোকান রয়েছে। মোবাইলের দোকান ও কসমেটিকসের দুটি দোকান রয়েছে তার। ঘটনার পর শিশুদের চাচা মেহেদী হাসান, চাচি ও মামাসহ অনেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুর চাচা মেহেদী হাসান জানান, শিশুটির বাবাই তার সন্তানদের হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
নিহত শিশুর মা রিমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বসে জানান, ঘটনার সময় তিনি নিচে ছিলেন। ঘটনাটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটে। চিৎকার শুনে পরে ঘটনাস্থলে যান। তবে কী কারণে এ ঘটনা সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। উদ্ধারকারীদের একজন জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। স্ত্রী বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে স্বামী এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত শিশু রোজার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ধানমন্ডি জোনের এডিসি আব্দুল্লাহ হেল কাফি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সন্ধা সাড়ে ৬টায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনও সংকট থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। হতে পারে অর্থনৈতিক বা অন্য কিছু। তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তবে এটাকে গ্রেপ্তার বা আটক বলা যাবে না।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৩৪ বার