দুবাই পুলিশের চালক বিহীন টহল গাড়ি
উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু করে আগেই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল দুবাই। এবার জানা গেল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোথাও জরুরি প্রয়োজনে ছুটে যাবার জন্য ড্রাইভারের আসার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। পুলিশ গাড়িতে উঠে গন্তব্যের নাম বললেই গাড়িটি নিয়েই তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাবে। এ বছরের শেষ নাগাদ চালকবিহীন পুলিশ কার রাস্তায় নামাতে চায় তারা। উদ্যোক্তারা জানিয়েছে, চালকবিহীন টহল গাড়ি চালু হলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে গতি আসবে। পুলিশের এক বা একাধিক সদস্য যখনই প্রয়োজন এক লাফে উঠে পড়তে পারবেন গাড়িতে। অপরাধীদের পিছু নেয়াও তাদের জন্য সহজ হবে। জানা গেছে, এই গাড়ি কেবল পুলিশ সদস্যদের বহনের কাজই করবে না, এটা ডিজিটাল ‘গোয়েন্দা’ হিসাবেও কাজ করবে। এই গাড়িতে থাকবে বায়োমেট্রিক সফটওয়্যার। অপরাধীদের নামের ডাটাবেজ ও ছবি সংরক্ষণ করা থাকবে এই সফটওয়্যারে। পথে চলার সময় যত মানুষ সামনে পড়বে তাদের সবার চেহারাও সে মুহুর্তে বিশ্লেষণ করে ফেলবে। এরপর নিজের ডাটাবেজে থাকা ছবির সাথে মিলিয়ে দেখবে। তাই সামনে কোনো অপরাধী পড়লেই সে পুলিশকে জানিয়ে দেবে। কেবল মানুষ নয়, বিভিন্ন বস্তুর ছবি তুলে সেগুলোও বিশ্লেষণ করবে। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলেই সিগন্যাল দেবে। এখানেই শেষ নয়, এর পেছন দিকে থাকবে একটি প্রজেক্টর, যা প্রয়োজন হলে ড্রোন ছুড়ে দেবে আকাশ থেকে ছবি তোলার কিংবা সন্দেহজনক কোনোকিছু আছে কি না তা দেখার জন্য। দুবাই পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা সব সময় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে আগ্রহী। একারণে তারা রোবট, ড্রোন ইত্যাদির পর চালকবিহীন টহল কারের দিকে ঝুঁকেছেন। সিঙ্গাপুরের এক কোম্পানির সাথে চালক বিহীন এই গাড়ি ডেভলপ করা হচ্ছে। এই পুলিশ পেট্রোল কারের ক্যামেরা দুবাই পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সাথেও সংযুক্ত থাকবে এবং রাস্তায় কি ঘটছে তা ছবি তুলে হেড কোয়ার্টারে জানাতে থাকবে। এই গাড়িতে আরো থাকবে সেন্সর যা দিয়ে যে কোন ব্যক্তি, স্থান এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি শনাক্ত করতে পারবে। -সিএনএন