ধর্মপাশার ৩ হাওরে জলাবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ বিঘ্নিত
ধর্মপাশার টঙ্গীর বাঁধের পিআইসির সভাপতির উপর মামলা থাকায় ইউপি সদস্য বাঁধ গভীর করে কাটতে দিচ্ছেন না। একারণে ধর্মপাশার টগা, কাইলানি ও কালিজানা হাওরের পানি নামছে না। এই তিন হাওরপাড়ের একাধিক কৃষক এই তথ্য জানালেন। অবশ্য ধর্মপাশার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন,‘বাঁধ কিছুটা কেটে দেওয়া হয়েছে, পানি কমলে আরো কাটা হবে।’ ধর্মপাশার টগা, কাইলানি ও কালিজানা হাওরে জমি রয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর। উপজেলার জয়শ্রী, চামরদানী, সেলবরস ও পাইকরাটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোর কৃষকদের জমি এই হাওরগুলোতে। এই তিন হাওরের পানি নিস্কাশন হয় উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের টঙ্গীর বাঁধ দিয়ে। স্বরসতীপুরের পেছনের এই বাঁধ কেটে দিলে পানি সুমেশ্বরী নদী হয়ে সুরমায় নামবে। মঙ্গলবার বিকালে হাওরপাড়ের কৃষকরা জানিয়েছেন, হাওর থেকে সুমেশ্বরী বা সুরমার পানির উচ্চতা কম। টঙ্গীর বাঁধ এবং সাভারীপাড়া স্লুইসগেটের মুখ বন্ধ থাকায় ৩ হাওরের পানি নিস্কাশনে বিলম্ব হচ্ছে। হাওরপাড়ের আবিদনগরের রইছ উদ্দিন ও নোয়াগাঁওয়ের চন্দন সরকার বলেন,‘বাঁধ ১ ফুটের মতো কাটা হয়েছে, কিন্তু এই গভীরতায় পানি নামছে না। আরো গভীর করে কেটে দিলে দ্রুত পানি নিস্কাশন হতো। কিন্তু বিগত বোরো মৌসুমের আগে এই বাঁধের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিআইসির সভাপতি ছিলেন জয়শ্রী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. খালেদুজ্জামান তালুকদার। তিনি এই বাঁধ গভীর করে কাটতে দিচ্ছেন না।’
ইউপি সদস্য খালেদুজ্জামান তালুকদার বলেন,‘বাঁধের কিছু অংশ কেটে দেওয়া হয়েছে, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে জানুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যে বাঁধের কাজের সরেজমিন তদন্ত হবে। এজন্য বড় করে বা গভীর করে বাঁধ কাটতে পারছি না। কাটলে বিপদে পড়বো।’চামরদানী ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না বলেন,‘এই বাঁধের উপর দুদকের মামলা রয়েছে, এজন্য কৃষকরা গভীর করে কাটতে পারছে না। ২-৩ দিনের মধ্যে কমপক্ষে দুই ফুট গভীর করে না কাটলে কাইলানি, টগা ও কালিজানা হাওরের কমপক্ষে ৫ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হবে না।’ ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার বললেন,‘টঙ্গীর বাঁধ কাটা হয় নি, এ কথা সত্য নয়। মামলা থাকায় প্রথমে বাঁধ কাটতে দেওয়া হয়নি। প্রিওয়ার্ক, পোস্ট ওয়ার্ক শেষে একবার বাঁধের কিছুটা কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন পানি নামলে আবার কাটা হবে। পরে আবার নামলে আরও কাটা হবে, এভাবে পানি নিস্কাশন করা হবে।’