ধর্ম্পাশা শয়তানখালী সেতু মরণফাঁদ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামলাবাজ গ্রামের সামনে শয়তানখালী খালের ওপর ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে এলজিইডি শয়তানখালী সেতুটি নির্মাণ করে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট। সেতুটি নির্মাণের পাঁচ-ছয় বছর পর রেলিং ভাঙতে থাকে। এর ওপর দিয়ে উপজেলার কামলাবাজ, ভাটকপুর, লংকাপাথারিয়া, মহিষেরবাতান, নলগড়া, খয়েরদিরচর, রাজনগর, আবুয়ারচর, সলপ, রংপুর, ভাটাপাড়া, রাজাপুর, রায়পুর, নখলখলা, আমজুড়া, বাখরপুর গ্রামের মানুষ চলাচল করে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির এক পাশের প্রায় পুরো অংশের রেলিং ভেঙে গেছে। অন্য পাশের কিছু অংশের রেলিং ভেঙে রড বেরিয়ে আছে। ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটির ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। ধরমপাশা ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ জাভেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি এভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিকে কারও কোনো নজর নেই। দ্রুত এটি ভেঙে এখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন। খয়েরদিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুলবুল আরা চৌধুরী বলেন, সেতুটির দুই পাশের বেশির ভাগ অংশের রেলিং ভেঙে গেছে। কোমলমতি শিশুশিক্ষার্থীরা এর ওপর দিয়ে যাওয়া-আসার সময় আতঙ্কে থাকে। উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, শয়তানখালী খালের সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।