নতুন ইতিহাস গড়ে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন
রোববার ওভালে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আলোচিত দ্বৈরথে টসে জয়লাভ করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ফখর জামানের সেঞ্চুরি ও হাফিজের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে সরফরাজবাহিনী। পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩০.৩ ওভারে মাত্র ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস।ভারতের ইনিংসের শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে চাপের মুখে পড়ে কোহলিরা। মাত্র ৩৩ রানে প্রথম তিন উইকেট পতন হয়।একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শেখর ধাওয়ান। ভারতের এই তিন ব্যাটিং স্তম্ভ আউট হওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন হৃদিক পাণ্ডে। তিনি ৪৩ বলে ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মোহাম্মদ আমির ৬ ওভারে দুটি মেডেনসহ মাত্র ১৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করে কোহলিদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান। এছাড়াও হাসান আলী ৩টি ও শাদাব খান ২টি উইকেট শিকার করেন। জুনায়েদ খান পেয়েছেন একটি উইকেট। ৩৩৯ রানের বিশাল পাহাড় ডিঙাতে খেলতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন আমির। তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে তা ধরতে ব্যর্থ হন আজহার। পরের বলেই পয়েন্টে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে এবার আর ভুল করেননি শাদাব খান। দলীয় ৬রানে ফিরে যান কোহলি (৫)।
নবম ওভারে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় টুনার্মেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার শেখর ধাওয়ান (২১) সাজঘরে ফিরেন। এরপর হৃদিক পাণ্ডে ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আজহার আলী ও ফখর জামান। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৮ রান। এরপর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার আলী। তবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফখর জামান। সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। তিনি ১১৪ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন। ৩টি ছক্কা ও ১২টি চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপর দ্রুতই ফিরে যান শোয়েব মালিক। তিনি ১২ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে সাজঘরে ফেরেন।
বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ৪৬ রান করে কেদার যাদবের বলে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। শেষদিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি ৩৭ বলে ৩ ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম খেলেন হার না মানা ২৫ রানের ইনিংস। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ফাইনালের একমাত্র শতক হাঁকানো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখরে জামান। আর ম্যান অব দ্য সিরিজ ও টুর্নামেন্টের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন হাসান আলী। আর টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান শেখর ধাওয়ান।